আজ খবর ডেস্ক: মঙ্গলবার সকালে একটি নিরীহ টুইট (Tweet)। যা ফের মোড় ঘুরিয়ে দিল আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের। এর আগে বিজেপি বিরোধী মঞ্চের থেকে ৩ জনের নাম সর্বসম্মতভাবে প্রস্তাব করা হয়েছিল। ঘটনাচক্রে, তাঁদের কেউই রাজি হননি। গতকাল প্রস্তাব ফিরিয়ে ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধী ও।
মঙ্গলবার সকালে নয় চমক। জানিয়ে আবার জোট বাঁধার পরিকল্পনায় দেশের অবিজেপি রাজনৈতিক দলগুলো।
তৃণমূলের প্রবীণ সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশবন্ত সিনহা (Yashwant Sinha) সংযুক্ত বিরোধী প্রার্থী হতে ইচ্ছুক। অন্তত এদিন সকাল থেকে এই খবরে উত্তাল রাজধানীর রাজনৈতিক মহল।

মঙ্গলবার সকালেই এনসিপি (NCP) সুপ্রিমো শরদ পওয়ারের (Sharad Pawar) দিল্লির বাড়িতে নিজেদের মধ্যে এক প্রস্থ বৈঠকে বসেছিলেন বিরোধী নেতারা। সেখানেই যশবন্তের নাম নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
দুপুর আড়াইটেয় বিরোধীদের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীকে নিয়ে আরেকবার লম্বা বৈঠকে বসার কথা। সকালে পাওয়ারের বাড়িতে সংক্ষিপ্ত বৈঠকে ছিলেন সীতারাম ইয়েচুরি, মল্লিকার্জুন খাড়গে সহ বেশ কয়েকজন। সূত্রের খবর, যশবন্ত সিনহার নাম নিয়ে আলোচনা হয়েছে এই বৈঠকে।
বিরোধীদের রাষ্ট্রপতি পদের প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম চূড়ান্ত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

তৃণমূল কংগ্রেসের (AITC) অন্দরে একটি সূত্রের খবর, কয়েকটি বিরোধী দলের তরফে যশোবন্তের নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) কাছে প্রস্তাব করা হয়েছে। তিনি বলেছেন, আলোচনা যা করার বৈঠকে করতে। তবে মমতা বন্দ্যোাধ্যায়ের কোনও আপত্তি নেই।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রাক্তন এই আমলা অতীতে দু দফায় কেন্দ্রের অর্থমন্ত্রী ছিলেন। প্রথমবার চন্দ্রশেখরের মন্ত্রিসভায়। দ্বিতীয়বার অটল বিহারী বাজপেয়ী প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন।
এছাড়া বাজপেয়ীর মন্ত্রিসভায় পররাষ্ট্র মন্ত্রকের দায়িত্ব ও সামলেছেন তিনি।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত বছর তাঁকে তৃণমূলের তরফে রাজ্যসভার সদস্য করেন। তিনি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি এবং দলের জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য।
যশবন্ত বর্তমান মোদি সরকারের তীব্র সমালোচক। বিজেপিতে থাকা অবস্থাতেই প্রাক্তন এই অর্থ ও বিদেশমন্ত্রী বর্তমান সরকারের নীতির বিরোধিতায় সরব হয়েছেন বারবার।
২০০৯ সালে নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করার সিদ্ধান্তেও তীব্র আপত্তি জানিয়েছিলেন তিনি।
বর্তমান বিজেপি নেতৃত্বের বিভেদ নীতির বিরুদ্ধেও তিনি সরব।

এদিন জল্পনা উস্কে যশবন্ত নিজে টুইট করেছেন। সেই টুইটে যেমন তিনি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে, তেমনই রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হওয়ারও ইচ্ছাপ্রকাশ করে দল থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন।
দুপুরে সংসদ ভবনের অ্যানেক্স বিল্ডিংয়ের বৈঠকে যশবন্তের নামে সিলমোহর দেওয়া হয় কি না, সেদিকেই নজর সবার।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *