আজ খবর ডেস্ক: প্রাথমিক, মাধ্যমিক অথবা উচ্চ মাধ্যমিক। রাজ্যের স্কুল শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে একের পর এক সমস্যা চলছেই। বুধবার সকালে যেমন চাকরির দাবিতে আবারও করুণা ময়ী মোড়ে চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ ঘিরে ধুন্ধুমার ঘটল।
প্রাথমিকভাবে ঠিক ছিল চাকরি প্রার্থীরা সল্টলেক করুণাময়ী মোড়ে অবরোধ করবেন।
বিক্ষিপ্ত ভাবে তাঁরা এসে জমা হচ্ছিলেন করুণাময়ী মেট্রো স্টেশন চত্বরের আশেপাশে।
তৈরি ছিল পুলিশও। করুণাময়ী মেট্রো স্টেশন এলাকা থেকেই কার্যত ধরপাকড় শুরু হয়। চাকরিপ্রার্থীদের আটক করে প্রিজন ভ্যানে তুলে নেয় পুলিশ।
২০১৪ সালের টেট (TET) পাশ নন-ইনক্লুডেড (Non-included) চাকরি প্রার্থীদের বিক্ষোভ দেখানোর কথা ছিল এদিন। কিন্তু বিক্ষোভ স্থলে পৌঁছনোর আগেই বিক্ষোভকারীদের আটক করলো বিধাননগর পুলিশ।
করুণাময়ী মেট্রো স্টেশনের ভেতর থেকে জমায়েত করে বাইরে বেরোনোর চেষ্টা করেন বিক্ষোভকারীরা। এরপরই পুলিশের সঙ্গে বচসা বাধে তাঁদের। হাতাহাতি শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে। কার্যত টেনে হিঁচড়ে তাঁদের আটক করে পুলিশ।
চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, ২০১৪ সালে এই পরীক্ষার নোটিফিকেশন হয়। ২০১৫ সালে পরীক্ষা এবং ২০১৬র সেপ্টেম্বরে ফল প্রকাশ হয়। ২০১৭, জানুয়ারি থেকে তাঁদের চাকরি দেওয়া শুরু করে রাজ্য সরকার। সরকারি দাবি, এই সময়ের মধ্যে মোট চাকরি পেয়েছেন ৪২ হাজার। পাল্টা চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, সংখ্যাটা কোনোমতেই ২৬ হাজারের বেশি নয়।
তাঁদের আরও অভিযোগ, ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের তরফে সকলকে চাকরি দেওয়া হবে বলে ঘোষণা হলেও আদতে তা হয় নি। এখনও প্রায় ১৪ হাজার পাশ করা প্রার্থী চাকরি পান নি। তাই এই বিক্ষোভ।
করা চাকরিপ্রার্থীরা অবিলম্বে নিয়োগের দাবিতে করুনাময়ী মোড়ে বিক্ষোভের পরিকল্পনা নিয়েছিলেন। পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের রীতিমত ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। তারপরই বিধাননগর পুলিশের বিশাল বাহিনী এসে বেশ কয়েকজনকে আটক করে।
চাকরির দাবিতে বারবার করুণাময়ী মোড়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন চাকরি প্রার্থীরা। বুধবার প্রায় কয়েক’শ চাকরিপ্রার্থীর জমায়েত হওয়ার কথা ছিল এখানে। বিক্ষোভের ফলে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে করুণাময়ী মোড়।