আজ খবর ডেস্ক:
রাজ্য ও দেশ জুড়ে ৪১ সম্পত্তির হদিশ মিলল অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) নামে। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় কয়েকশো কোটি টাকা। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআইয়ের (CBI) পাশাপাশি নতুন করে “অবৈধ আর্থিক রোজগারে”র তদন্তের ভার নিল ইডি (ED)।


সূত্রের খবর, ২০১৫ – ২০২০ সাল পর্যন্ত বিপুল সম্পত্তির মালিক হয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। এর মধ্যে অনেক সম্পত্তিই কেনা হয়েছে বেনামে। মেয়ে ও স্ত্রীয়ের নামে বহু সম্পত্তি কিনেছেন তিনি। এরকম মোট ৫৬টি সম্পত্তির দলিল রয়েছে সিবিআইয়ের হাতে। সেদিকে এবার নজর দিয়েছে ইডি।

সবে ২১শে জুলাইয়ের কর্মীসভায় দেখা মিলেছিল তাঁর। প্রিয় কেষ্ট দা’র দেখা পেয়ে দলের নেতা কর্মীরাও বেশ খানিকটা চাঙ্গা হয়েছিলেন। কিন্তু, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে গরুপাচারকাণ্ডে আরও বিপাকে অনুব্রত মণ্ডল।
কলকাতার ইডি দপ্তর থেকে দিল্লিতে সিবিআইয়ের দুর্নীতিদমন শাখার কাছে পৌঁছেছে একটি চিঠি। যাতে অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে জেরা করে পাওয়া যাবতীয় তথ্য চাওয়া হয়েছে।

আসানসোল (Asansol) সিবিআই কোর্টে (CBI Court) বীরভূমের (Birbhum) তৃণমূল (TMC) জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) সম্পত্তির নথি তুলে ধরল সিবিআই (CBI)। গরুপাচার মামলায় আসানসোল সিবিআই আদালতে পেশ করা হয় অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে (saigal hossain)।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, শুনানির সময় সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসাররা জানান, তদন্তে নেমে তাঁরা অনুব্রত মণ্ডলের ২০১৫ থেকে ২০২০ পর্যন্ত জমির নথি পেয়েছেন। ৪৫টি দলিল পাওয়া গেছে যেগুলি অনুব্রত তাঁর নিজের নামে, স্ত্রীর নামে ও মেয়ের নামে বিভিন্ন জায়গায় কিনেছেন। একই সময়ে সায়গল হোসেনও সম্পত্তি কিনেছেন বলে দাবি সিবিআইয়ের।

ফলে, কয়লা ও গরুপাচার কাণ্ডে ফের অস্বস্তিতে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি। সিবিআইয়ের পর এবার ইডি-র নজরে অনুব্রত। ইডির নজরে রয়েছেন অনুব্রত মন্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনও।
সূত্রের খবর, ইডির পক্ষ থেকে সিবিআই-কে যে চিঠি পাঠানো হয়েছে তাতে সিবিআইয়ের থেকে সব তথ্য প্রমাণ চাওয়া হয়েছে।
এমনকি, সায়গলের বাড়ি থেকে কী কী নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে ইডির তরফে। যাবতীয় সম্পত্তি সম্পর্কে সিবিআই যে যে তথ্য পেয়েছে, সেই তথ্যগুলিও চাওয়া হয়েছে। সমস্ত তথ্য খতিয়ে দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে বলে ইডি সূত্রে খবর।
এর আগে গরুপাচার (cattle smuggling) মামলায় সায়গল হোসেনের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ১০০ কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ পেয়েছিল সিবিআই।

বাড়ি-ফ্ল্যাট থেকে ট্রেলার-পেট্রল পাম্প, সোনা থেকে গাড়ি-একাধিক সম্পত্তির হদিস মিলেছিল। ৪টি ফ্ল্যাট, ৫টি বাড়ি ছাড়াও নিউটাউনে দু’টি নির্মীয়মান বাড়ি রয়েছে অনুব্রত মন্ডলের দেহরক্ষীর।
খোঁজ মিলেছে বিপুল পরিমাণ জমির ও (Land)। সিবিআইয়ের দাবি, সব মিলিয়ে মোট ১০টি গাড়ি রয়েছে সায়গল হোসেনের। সায়গলের সব সম্পত্তির (Asset) হদিশ পেতে তাঁর ৬ মামাকে তলব করেছিল সিবিআই।
তাঁদের মধ্যে কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, সায়গলের সম্পত্তির হিসেব খতিয়ে দেখতে গিয়ে তাঁর মামাদের নামে একাধিক জায়গায় বিপুল সম্পত্তির হদিশ মেলে। তাঁদের নামে পাথরের খাদান থেকে ডাম্পার ট্রাক পাওয়া গিয়েছে।
তদন্তকারী অফিসারদের ধারণা, মামাদের নামেই সায়গল নিজের বেনামি সম্পত্তি রেখেছিলেন।
ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, সিবিআইয়ের পর এবার ইডির মুখোমুখি হতে হবে অনুব্রত মণ্ডল কে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *