আজ খবর ডেস্ক:
কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi) এদিন ন্যাশনাল হেরাল্ড (National Herald) সংবাদপত্র মামলায় দ্বিতীয় দফা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED) এর সামনে হাজির হয়েছেন। এদিন সকাল ১১টা নাগাদ মধ্য দিল্লির ইডি অফিসে পৌঁছে যান সোনিয়া।
মা কে পৌঁছে দিয়ে বেরিয়ে যান রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi), তবে প্রথম দিনের মতই প্রিয়াঙ্কা গান্ধী (Priyanka Gandhi) ইডি অফিসে রয়েছেন।
৭৫ বছর বয়সী সোনিয়াকে প্রথমবার ২১শে জুলাই এই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল।
সেদিন ২ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে প্রশ্নোত্তর পর্ব চলে। যেখানে তিনি ইডির ২৮টি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলেন।

ইডি সূত্রে খবর, সমস্ত কোভিড-উপযুক্ত প্রোটোকল মেনেই হাই-প্রোফাইল সেশনের প্রস্তুতি রাখা হয়েছে।
এদিন কংগ্রেসের তরফে সোনিয়া ও রাহুলের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার এই পদক্ষেপকে “রাজনৈতিক প্রতিহিংসা” বলে অভিহিত করেছে। সকাল থেকে নয়া দিল্লির বিভিন্ন এলাকায় পথে নেমে বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রেস নেতৃত্ব। গ্রেপ্তার হন লোকসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী।


এদিকে, দিল্লি পুলিশ, সিআরপিএফ (CRPF) এবং আরএএফ (RAF) এর একটি বিশাল বাহিনী মোতায়েন করেছে সোনিয়ার বাসভবনের বাইরে। ইডি অফিসের মধ্যে পুরো এক কিলোমিটারের বেশি ব্যারিকেড করা হয়েছে। ওই এলাকায় যান চলাচলেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, রাহুল গান্ধীকেও এই মামলায় ইডি জিজ্ঞাসাবাদ করেছে গত মাসে পাঁচ দিনের মধ্যে ৫০ ঘন্টার ও বেশি সময় ধরে।
গত বছরের শেষের দিকে ইডি মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের (PMLA) ফৌজদারি বিভাগের অধীনে একটি নতুন মামলা নথিভুক্ত করার পরে গান্ধী পরিবারের সদস্যদের একের পর এক জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছিল।
বিশেষজ্ঞদের মতে রাহুল গান্ধী, ইডি-র সামনে জবানবন্দি দেওয়ার সময় বলেছিলেন, নিজের বা তাঁর পরিবারের দ্বারা ব্যক্তিগত সম্পত্তি অধিগ্রহণ করা হয়নি।

এদিকে সংসদের বিরোধী দলনেতা তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি, অধীর রঞ্জন চৌধুরী পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) চিঠি লিখেছেন। শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারির সঙ্গে “জড়িত” থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) কে অবিলম্বে রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকে বরখাস্ত করার আবেদন জানিয়েছেন।
চিঠিতে, অধীর লিখেছেন, পার্থ যখন ২০১৪-২১ সাল পর্যন্ত বাংলার শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন তখন শিক্ষক নিয়োগে এই অনিয়ম হয়েছিল।
এই কেলেঙ্কারি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ওপর একটি “কালো দাগ” এবং মুখ্যমন্ত্রীর অবিলম্বে পার্থবাবু কে মন্ত্রীত্ব থেকে বরখাস্ত করা উচিত।

তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি প্রসঙ্গে রাজ্য ও সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে দু’রকমের নীতি নিয়ে চলছে কংগ্রেস। দিল্লিতে যখন ইডির ডাকে রাহুল ও সোনিয়া গান্ধীকে হাজিরা দিতে হচ্ছে তখন পথে নেমে কেন্দ্রের “প্রতিহিংসা মূলক আচরণের” বিরোধিতা করছে কংগ্রেস।
এদিকে রাজ্যে যখন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা বর্তমান শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় কে গ্রেপ্তার করেছে একই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি, তখন পার্থকে মন্ত্রিসভা থেকে সরানোর আর্জি জানাচ্ছে কংগ্রেস।
কংগ্রেসের এই ভূমিকা নিয়ে তাই ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *