আজ খবর ডেস্ক:
বাংলার নতুন গভর্নর কি রাকেশ আস্থানা (Rakesh Asthana)? এমনই জল্পনা চলছে রাজধানীর রাজনৈতিক মহলে। রাকেশ সিবিআইয়ের (CBI) প্রাক্তন স্পেশাল ডিরেক্টর এবং সদ্য-প্রাক্তন দিল্লি পুলিশ কমিশনার। শোনা যায়, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পছন্দের ব্যক্তি রাকেশ। ফলে ধনখড়ের পর আস্থানা বাংলার রাজ্যপালের পদে বসতে চলেছেন, এমনই জোর জল্পনা চলছে দিল্লিতে।

আস্থানা, ১৯৮৪-ব্যাচের গুজরাট ক্যাডারের আইপিএস। সিবিআই থেকে অবসর নেওয়ার পর গত বছরের জুলাই মাসে দিল্লি পুলিশ কমিশনারেটের দায়িত্ব নেন। সেই মেয়াদ শেষ হয়েছে চলতি বছরের ২৮ জুলাই। নতুন কমিশনার নিয়োগও সম্পন্ন হয়েছে। তখন থেকেই শোনা যাচ্ছিল আস্থানাকে রাজ্যপাল হিসেবে পাঠানো হতে পারে বাংলায়।

বর্তমানে মণিপুরের গভর্নর, লা গণেশন বাংলার গভর্নর হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। খুব শীঘ্রই বাংলায় স্থায়ী রাজ্যপাল পাঠাতে চায় কেন্দ্র। সেক্ষেত্রে এমনও শোনা যাচ্ছে যে, কেন্দ্রীয় সরকার এমন কাউকে পাঠাতে চায়, যিনি মোদি সরকারের অত্যন্ত বিশ্বস্ত এবং কঠোর। প্রসঙ্গত, আস্থানা নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর (NCB) ডিজি হিসাবেও অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেছেন।

আস্থানা ২০০২ সালে গোধরায় সবরমতি এক্সপ্রেসের অগ্নিকাণ্ডের মতো বেশ কয়েকটি হাই-প্রোফাইল মামলার দায়িত্বে ছিলেন। এছাড়াও, বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদবকে ১৯৯৭ সালে পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল রাকেশের তত্বাবধানে। ফলে তিনি বাংলার রাজ্যপাল হলে, মোদি সরকারের অন্যতম প্রধান বিরোধী তৃণমূল সরকারের ওপর চাপ বাড়বে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

উল্লেখ্য, নবান্ন এবং বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের মধ্যে সংঘাত ছিল তীব্র। একের পর এক ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী-রাজ্যপালের মধ্যে সংঘর্ষ। এখন দেখার বিষয় দায়িত্ব পেলে, রাকেশ আস্থানা ধনখড়ের ছেড়ে যাওয়া রাজ্যপালের পদ কিভাবে সামলান।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *