আজ খবর ডেস্ক:
বৃত্তির (Stipend) দাবিতে সোমবার জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (JNU) ছাত্র ও কর্মীদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ বাধে।
অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (ABVP) অভিযোগ করেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীরা এবং রক্ষীরা বৃত্তি চাইতে যাওয়া ছাত্রদের আক্রমণ করেছে।
আহত ছাত্রদের মধ্যে জেএনইউর এবিভিপি সভাপতি রোহিত কুমারও রয়েছেন।


ছাত্রদের অভিযোগ গবেষণা করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতি মাসে যে স্টাইপেন্ড পাওয়ার কথা, গত দু বছর ধরে তা আটকে রয়েছে। সেই টাকার জন্য দাবি জানাতে এদিন তাঁরা জেএনইউ কর্তৃপক্ষের কাছে যান। কিন্তু সেখানে কর্মী এবং নিরাপত্তা রক্ষীদের দ্বারা আক্রান্ত হতে হয় তাঁদের।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, উভয় পক্ষেরই বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। যদিও দিল্লি পুলিশের (Delhi Police) দাবি, এখনও পর্যন্ত তারা কোনও অভিযোগ পায়নি।
এদিনের ঘটনায় সব মিলিয়ে প্রায় ৫০ জন আহত হয়েছেন বলে খবর।
এবিভিপি সদস্যরা উস্কানি ও হামলার জন্য প্রশাসনকে দায়ী করেছেন এবং বলেছেন, নিরাপত্তা রক্ষীরা জেএনইউ প্রশাসনের নির্দেশে ছাত্রদের ওপর হামলা করেছে।

টুইটারে এবিভিপি ছাত্র গোষ্ঠীর অভিযোগ, নিরাপত্তা কর্মীরা মেয়েদের এবং বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ছাত্রদের পর্যন্ত শারীরিক নিগ্রহ করার থেকে রেহাই দেয়নি। “অনেক ছাত্র গুরুতর আহত হয়েছে এবং ফেলোশিপ বিভাগ ছাত্রদের রক্তে লাল হয়েছে।” এবিভিপি একটি টুইটে বলেছে।
পাশাপাশি একটি লিখিত বিবৃতিতে এবিভিপির তরফে জানানো হয়েছে, ছাত্ররা ফেলোশিপের পরিমাণ এবং বৃত্তির বকেয়ার জন্য অ্যাডমিন অফিসে ঘেরাও করেছিল কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে। “আজ, ছাত্ররা ফেলোশিপের দাবি তুলতে অ্যাডমিন ব্লকে পৌঁছলে, সেখানে কর্মরত কর্মীরা তাঁদের কথা শুনতে অস্বীকার করে এবং ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে যায়। ছাত্ররা এই দাবি নিয়ে ফিনান্স অফিসারের কাছে গেলে ওই অফিসার ও তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন,” বলেছে এবিভিপি।

এদিকে, পাল্টা বাম-সমর্থিত অল ইন্ডিয়া স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের (AISA) সভাপতি এন সাই বালাজি সংঘর্ষের ভিডিওগুলি সমাজমাধ্যমে শেয়ার করে বলেছেন, কীভাবে ABVP JNU নিরাপত্তারক্ষীদের তাড়া করছে এবং তাঁদের আক্রমণ করছে।
জেএনইউএসইউ (JNUSU) সভাপতি ঐশী ঘোষ (Aishe Ghosh) বলেছেন, “এবিভিপি সদস্যরা নিরাপত্তারক্ষীদের মারধর করেছে।”


ছাত্র এবং নিরাপত্তাকর্মীদের একে অপরকে ধাক্কা দেওয়ার ভিডিও শেয়ার করে ঐশী লিখেছেন, “এবিভিপি তার সেরাটা করছে। আজ বৃত্তি বিভাগে রক্ষীদের মারধর, এবং নথিপত্র লুটপাট। JNU প্রশাসন তাদের নিজেদের সুবিধার জন্য এই গুন্ডাদের তৈরি করেছে বছরের পর বছর ধরে ছাত্রদের আন্দোলন ভাঙতে। এখন, এই গুণ্ডারা আইনশৃঙ্খলাকে তাদের হাতে তুলে নিতে এবং গুন্ডামি প্রকাশ করতে লুটপাট চালিয়েছে।”


এদিন সকাল ১১টা নাগাদ পাঁচজন পড়ুয়া তাঁদের স্কলারশিপের টাকার জন্য খোঁজ নিতে যান। যদিও ঘটনাটি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *