আজ খবর ডেস্ক:
তাঁকে হন্যে হয়ে খুঁজছে ইডি, সিবিআই (ED/CBI)।
এদিকে সিবিআই লুক আউট নোটিস (Lookout notice) জারি করার পরেই তাঁর সরকারি নিরাপত্তা তুলে নিয়েছে রাজ্য সরকার।


তারপরেই খোঁজ মিলল মানিক ভট্টাচার্যর (Manik Bhattacharya)। অবশেষে জানা গেল, যাদবপুরে নিজের বাড়িতেই আছেন তিনি। যাদবপুরে সেন্ট্রাল রোডে থাকেন তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) মানিক ভট্টাচার্য। তিনি নাকি আগাগোড়া সেখানেই আছেন, কোথাও যান নি।
তাঁর নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নিয়েছে রাজ্য সরকার। প্রসঙ্গত, ইডির খাতায় “নিঁখোজ” দেখানো হয়েছে অপসারিত পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে।
দিন কয়েক আগেই প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতির পদ থেকে মানিককে সরিয়ে দেওয়া হয়। তার পরিবর্তে নতুন দায়িত্ব নিয়ে এসেছেন কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গৌতম পাল।

প্রশ্ন উঠেছিল, নদীয়ার পলাশী পাড়ার তৃণমূল বিধায়ক কি তাহলে বাংলাদেশ পাড়ি দিয়েছেন?
মানিক ভট্টাচার্যকে খোঁজার বিষয়ে আইনি পরামর্শ নিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে ইডি। লুক-আউট নোটিস জারি করেছে সিবিআই।
এরই মধ্যে শুক্রবার সকালে রাজ্য পুলিশ সূত্রে জানানো হল, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিককে আর রাজ্য পুলিশের তরফে নিরাপত্তা দেওয়া হবে না।
রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির (SSC Scam) অভিযোগ উঠেছে মানিকের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই ২০১৭ সালের টেট পরীক্ষার (TET) দ্বিতীয় তালিকাকে “বেআইনি” ঘোষণা করেছে আদালত। তালিকায় থাকা ২৬৯ জনের কীভাবে চাকরি হয়েছিল, প্রশ্ন উঠেছে তা নিয়েও।

এবার নয়া নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম বা সিট (SIT) গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতির অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত এবার হবে হাইকোর্টের নজরদারিতে।
এর আগে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একাধিক বার ইডির জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হয়েছে মানিককে। গত ২৮শে জুলাই লাগাতার ১৪ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল মানিককে।


এবার তৃণমূলের অন্দরে প্রশ্ন উঠেছে, দলের তরফে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) পর দ্বিতীয় কোপ কি পড়ছে মানিক ভট্টাচার্যের ওপর? গুঞ্জন শুরু হয়েছে, দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় দল থেকে সাসপেন্ড করা হতে পারে মানিককে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *