আজ খবর ডেস্ক:
গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) সিবিআইয়ের (CBI) হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। প্রথম কিছুদিন সিবিআই হেফাজতে থাকার পর আপাতত তিনি আসানসোল সংশোধনাগারে।
তাঁর একাধিক শারীরিক সমস্যা রয়েছে। যেই কারণ দেখিয়ে অনুব্রতর আইনজীবী বারবার বিচারকের কাছে জামিনের আবেদন করলেও খারিজ হয়ে গিয়েছে।


তার ওপরে বারবার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য জেল থেকে হাসপাতালে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতেই সামনে এসেছে, জেলে অনুব্রতর ঠিক পাসের ছেলেই রয়েছেন তাঁর দীর্ঘদিনের ছায়া সঙ্গী সায়গল হোসেন। প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলায় অনুব্রতর আগেই গ্রেপ্তার হয়েছিলেন সায়গল। ইডি (ED) ও সিবিআই সায়গলের নামে-বেনামে প্রভূত সম্পত্তির হদিশ পায়।

জেল সূত্রে খবর, অনুব্রতর যাবতীয় শারীরিক অসুস্থতার দেখভাল এতদিন পর্যন্ত সায়গলই করতেন। জেলে পাশের সেলে থাকা “দাদা”র যত্নআত্তির দায়িত্ব এবার ও নিজের হাতে তুলে নিয়েছেন সায়গল।
দীর্ঘদিন ধরেই অনুব্রতর ওষুধপত্র থেকে খাওয়াদাওয়া, সুবিধা-অসুবিধা দেখতেন তিনি। জেলেও তার অন্যথা হচ্ছে না।


সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অনুব্রতের সঙ্গেই থাকছেন সায়গল। ওষুধ খাইয়ে দেওয়া থেকে রাতে অক্সিজেন মাস্ক পরিয়ে দেওয়া, নেবুলাইজারের ব্যবস্থা, পুরো দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তিনি।

সংশোধনাগার সূত্রে জানা গিয়েছে, সকালে জলখাবার খেয়ে সায়গলের সঙ্গেই খানিকক্ষণ হাঁটাহাঁটি করেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি।


যদিও কারারক্ষীরা কড়া নজর রাখছেন তাঁদের ওপর।
এখন ঠিক কেমন আছেন অনুব্রত?‌ তাঁর আইনজীবীর সূত্রে খবর, অনুব্রত মণ্ডলকে দিনে ৩৭টি ওষুধ খেতে হয়। জেলে থাকাকালীন তাঁর ১০ কেজি ওজন কমেছে। পরতে হয় অক্সিজেন মাস্ক। এমনকী নেবুলাইজারও নিতে হয়।
জেল হেফাজত হতেই কেষ্ট ঘনিষ্ঠরা চিন্তায় পড়েছিলেন, তাঁর যত্ন কে করবে?‌ কিন্তু সেখানে বন্দি রয়েছেন সায়গল হোসেনও।


স্বেচ্ছায় প্রাক্তন কর্তার সমস্ত দায়িত্ব আপাতত নিজের কাঁধেই তুলে নিয়েছেন সায়গল।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *