আজ খবর ডেস্ক:
আসানসোল সংশোধনাগার থেকে ভার্চুয়াল শুনানি (Virtual Hearing) করার আবেদন করেছিলেন জেল সুপার। কিন্তু অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) সশরীরে হাজির করেই শুনানি হবে বলে জানানো হয়েছিল আদালত থেকে। কারণ, সংশোধনাগারে ভিডিও কনফারেন্সের (Video Conference) ব্যবস্থা থাকলেও আদালতে সেই ব্যবস্থা নেই। তাই এদিন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি পৌঁছন আসানসোলের বিশেষ আদালতে।
বুধবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ অনুব্রতকে আসানসোল সংশোধনাগার থেকে বের করে তোলা হয় গাড়িতে। উপস্থিত সাংবাদিকরা অনুব্রতকে জিজ্ঞেস করেন, “শরীর কেমন আছে”? জবাবে তিনি জানান, “ভাল নাই”।

এদিন ফের অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত (Special CBI Court)।
সিবিআইয়ের আইনজীবী কালীচরণ মিশ্রের দাবি, অনুব্রতর প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন মধ্যস্থতার কাজ করতেন এবং অনুব্রতর জন্য টাকা তুলতেন। পাল্টা, অনুব্রতর আইনজীবী ফারুক রজ্জাক বলেন, ‘‘সায়গল যে টাকা তুলতেন, তাতে আমার মক্কেলের কী দোষ? তিনি কি বলতেন টাকা তুলতে? তার কি কোনও প্রমাণ দিয়েছে সিবিআই?’’
জামিনের আবেদন খারিজ করে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে (Jail Custody) পাঠানো হল তৃণমূলের এই দাপুটে নেতাকে। এই নিয়ে দু’দফায় জেল হেফাজত হল গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) ধৃত অনুব্রত মণ্ডলের।
আগামী ২১শে সেপ্টেম্বর ফের পরবর্তী শুনানি।
প্রথমে দু’দফায় সিবিআই হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল অনুব্রত মণ্ডলকে। তারপর তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানো হয়। এদিন আরও এক দফায় ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানো হল তাঁকে।

এদিন সিবিআই আদালতে জমা করেছে অনুব্রত এবং তাঁর ঘনিষ্ঠদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য (Bank Account Details)।
অনুব্রতকে গ্রেপ্তার করার পর গত ১৭ই আগস্ট বোলপুরে (Bolpur) আবার তল্লাশি চালায় সিবিআই। অনুব্রত মণ্ডলের হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে জিজ্ঞাসাবাদ হয়।
মণীশের বাড়িতেও তল্লাশি হয়। অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যা-সহ একাধিক অনুব্রত-ঘনিষ্ঠর সম্পত্তির খোঁজ নেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। বুধবার সেই সব তথ্য আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে।
আদালতে বুধবার সিরিয়ালের আইনজীবী দাবি করেন, অনুব্রতর নামে বহু সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে। এনামুলের সঙ্গে যে টাকার লেনদেন হয়েছে, তার তথ্য রয়েছে। সিবিআইয়ের তরফে আদালতে এ-ও জানানো হয় যে, অনুব্রত মণ্ডল এতটাই প্রভাবশালী যে শুল্ক আধিকারিকদেরও ধমকি দিতেন।

পাল্টা অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী বলেন, “বাংলাদেশে যে গরু পাচার করা হত তার কোনও নির্দিষ্ট তথ্য নেই সিবিআইয়ের কাছে।”
বিচারক জানতে চান, বাংলাদেশে গরু পাচারে কী ভাবে জড়িত অনুব্রত?
তখনই অনুব্রতর আইনজীবী বলেন, বাংলাদেশে যে গরু পাচার করা হত তার কোনও নির্দিষ্ট তথ্য নেই সিবিআই আধিকারিকদের কাছে।
এদিন সিবিআই আদালত থেকে বেরোনোর সময় আর কোনও প্রশ্নের জবাব না দিয়ে সরাসরি গাড়িতে উঠে পড়েন অনুব্রত মণ্ডল।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *