আজ খবর ডেস্ক:
পুজোর ঢাকে কাঠি পড়ে গেছে। আপনি তৈরি তো? মাথা থেকে পা,হেয়ার স্পা (Hair Spa) থেকে ফেসিয়াল (Facial) হয়ে পেডিকিওর (Pedicure)– সব কিছুই করে ফেলেছেন? নাকি ধাপে ধাপে নিজেকে তৈরি করছেন পুজোর জন্য?
তাহলে এখানে রইল এমন একটা জিনিসের সন্ধান, যা ঘরে বসেই আপনাকে দেবে গ্ল্যামার কোশেন্ট বাড়ানোর সুবর্ণ সুযোগ।


ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ ফার্মটেক রিসার্চের একটি রিপোর্ট বলছে কারি পাতার (Curry Leaves) কথা। আজ্ঞে হ্যাঁ, ঠিকই পড়ছেন। টক ডাল, উপমা অথবা সম্বর রান্নায় নিয়মিত ব্যবহার হয় কারি পাতার। কিন্তু সেই কারি পাতার “ম্যাজিক টাচ” নানা ভাবে আপনার চেহারায় পরিবর্তন আনতে পারে।

জানেন কি, সাদা চুলের সমস্যা (Grey Hair Problem) কমিয়ে দিতে পারে কারি পাতা?
কারি পাতা ধীরে ধীরে সাদা চুলকে কালো করে তুলতে পারে। এমনকী চুলের কোনও পিগমেন্টের ক্ষতি না করেই তা সম্ভব করে এই পাতা। অতীতে বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে , ভিটামিন বি ও ডি-এর অভাবে চুলে পাক ধরতে শুরু করে। কারি পাতায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ডি, বি (Vitamin C, D, B) এবং আয়রন (Iron) আছে। তাই এটি আপনার চুলের জন্য খুবই ভাল।


অল্প বয়সে চুল পেকে যাওয়ার সমস্যা আমাদের অনেকেরই আছে। আর পূজোর সময় নিশ্চয়ই আপনি পাকা চুল নিয়ে সেজেগুজে ঘুরে বেড়াবেন না!যদিও এখন অনেকেই “গ্রে হেয়ার” ট্রেন্ডে গা ভাসাচ্ছেন।
আবার অনেকই কুচকুচে কালো চুল ফেরত চান।
প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে একেবারে ঘরোয়া উপায়ে এই সমস্যা থেকে একবার সমাধান খুঁজেই দেখতে পারেন। খরচ নাম মাত্র।

তার আগে জেনে নিন, কেন সময়ের আগেই চুলে পাক ধরতে শুরু করে?
চিকিৎসকরা বলছেন, মূলত ভিটামিনের অভাবে চুলে তাড়াতাড়ি পাক ধরে। ভিটামিন বি-৬, বি-১২ , বায়োটিন, ভিটামিন ডি এবং ভিটামিন ই-এর ঘাটতিতে অসময়ে চুল পাকতে পারে।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই জিন (Gene) প্রধান কারণ হয়ে থাকে। অসময়ে চুলে পাক ধরার সঙ্গে এর বিশেষ যোগ রয়েছে।
অত্যাধিক দুশ্চিন্তায় চুল অসময়ে সাদা হয়ে যেতে পারে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ সেই কথাই বলছেন।


একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যাঁরা ধূমপান করেন তাঁদের অসময়ে চুলে পাক ধরে।
এই সমস্যা যদি আপনার জিনগত হয়, তবে আপনার উচিত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া। এছাড়াও যদি আপনার চুলে কোনও বিশেষ সমস্যা থাকে, তাহলেও চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলা উচিত। কিন্তু আপনার লাইফস্টাইল (Lifestyle) যদি এর প্রধান কারণ হয়, তাহলে বাড়িতে নিয়মিত চুলের যত্ন নিতে হবে।

চুলের যত্ন নেওয়ার জন্য কাজে লাগান কারি পাতা।
কারি পাতায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিড্যান্টস রয়েছে। যা আপনার চুলকে ভাল রাখে ও চুলের গোড়া মজবুত করে। এছাড়াও কারি পাতায় আছে প্রোটিন ও বেটা ক্যারোটিন। এই ধরনের উপাদান চুলে পুষ্টির যোগান দেয়। তাই চুল খুব সহজেই পাতলা হয়ে যায় না।


এছাড়াও অতিরিক্ত পরিমাণে চুল পড়া কমাতেও কারি পাতা সাহায্য করে। এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে অ্যামিনো অ্যাসিডও আছে। যা চুলের ফলিকলকে মজবুত করে। চুল ভাল রাখে।
জেনে নিন, কারি পাতা আপনার চুলে কীভাবে ব্যবহার করবেন?


নারকেল তেল (Coconut Hair Oil) চুল ভাল রাখতে ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও আপনার চুলের পুষ্টি যোগান দিতে এবং ময়শ্চরাইজ করতে সাহায্য করে। নারকেল তেলের সঙ্গে যদি অল্প কারি পাতা থেঁতো করে মিশিয়ে চুলে লাগানো হয়, তাহলে যথেষ্ট উপকার পাবেন।

অথবা একটি পাত্রে নারকেল তেল এবং থেঁতো করা কারি পাতার রস নিয়ে ঠান্ডা করুন এবং একটি শিশিতে ভরে রাখুন।
এবার আঙুলের ডগায় তেল লাগিয়ে চুলে মাসাজ করে নিন। এক ঘণ্টা রেখে তারপর শ্যাম্পু করে নিন। চুল পড়া কমে যাবে। সপ্তাহে ২-৩ বার ব্যবহার করুন। ফল পাবেন, নিশ্চিত।

কারি পাতা শুধু চুলের পাক ধরা আটকাতেই সাহায্য করে এমন নয়। খুশকি, স্কাল্প সুস্থ রাখা, চুল পড়া আটকানো, এমনকী চুলে ঝলমলে “স্পা” এফেক্ট আনতে ও উপকারী ভূমিকা নেয় কারি পাতা।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *