আজ খবর ডেস্ক:
তিনি যেন পাশ্চাত্যের “জনপদ বধূ” আম্রপালি! একটানা ৫৪ বছর ধরে ৫লক্ষ গ্রাহকের যৌন তৃষ্ণা মিটিয়েছেন তিনি। নাম, বিয়াট্রিস থমসন (Beatrice Thomson), আমেরিকার (America) নেভাডায় (Nevada) থাকেন।
পেশায় যৌনকর্মী (Prostitute), এখন বয়স ৭৬। বর্ণময় তাঁর জীবনের নানা অভিজ্ঞতা সম্প্রতি প্রকাশ্যে এনেছেন। কারণ, ৭৬ বছরে পৌঁছে নিজের পেশা থেকে অবসর নিয়েছেন বিয়াট্রিস। আর, যৌনকর্মী হিসেবে শেষ দিনে তাঁর বিছানায় ছিলেন জার্মানির ৩৪ বছরের এক যুবক।

বিয়াট্রিস থমসন

মাত্র ১২ বছর বয়সে এই পেশায় এসেছিলেন বিয়াট্রিস। তাঁর পরিচিতি ছিল “থ্রি ডলার থমসন” (Three Dollar Thomson) নামে। কারণ, সেসময় তাঁর পারিশ্রমিক ছিল সেটাই।
অনেকেই বিয়াট্রিসের জীবনকে নেভাদার পতিতাবৃত্তির ইতিহাসে একটি মাইলফলক বলে অভিহিত করেছেন। প্রসঙ্গত, নেভাডা একমাত্র মার্কিন রাজ্য যেখানে পতিতাবৃত্তি আইনত অনুমোদিত।


একবার এক সাক্ষাৎকারে বিয়াট্রিস জানিয়েছিলেন, “যখন খুব অল্প বয়স ছিল, দিনে ৫০-১০০ জন গ্রাহককে পরিষেবা দিতাম। স্থির করেছিলাম যে, অবসরের আগে এই সংখ্যাটা পাঁচ লাখে নিয়ে যাব। একটু কম পরিচিত ছিলাম এই পেশায়, ফলে এই লক্ষ্যপূরণে আরও বেশ কয়েক বছর অতিরিক্ত সময় ব্যয় হয়েছে।”

সেই লক্ষ্যই পূরণ করেছেন পেশাগত জীবনের ৫৪ বছর ধরে।
৫৪ বছর ধরে পাঁচ লক্ষ গ্রাহককে পরিষেবা দিয়েছেন বিয়াট্রিস।
২০১১ সালে বিয়াট্রিসকে ‘লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ (Life Time Achievement Award) দিয়েছিল নেভাডা যৌনকর্মী সংগঠন।
জানা গেছে, নেভাডার সেক্স ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন Sex Workers Union) ১৯৬৯ থেকে ১৯৯২ সালের মধ্যে ১৭ বার বিয়াট্রিসকে “সেক্স ওয়ার্কার অফ দ্য ইয়ার” উপাধি দেয়। ২০১১ সালেও তাঁকে সেরার স্বীকৃতি দেয়।

বিয়াট্রিস আরও এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “৬৪ বছরের আগেই আমি এই পেশা থেকে অবসর নিতে পারতাম। কিন্তু কাজকে ভালবেসেছি। নিজের লক্ষ্যে পৌঁছনোর তাগিদেই আরও কয়েক বছর পরিষেবা দিতে রাজি হয়েছিলাম।”


বিয়াট্রিস জানিয়েছেন, তিনি যে পাঁচ লক্ষ গ্রাহকের পরিষেবার দাবি করছেন, তার সপক্ষে প্রমাণও আছে। কোন গ্রাহক কোন সময়ে এসেছিলেন, কত টাকা দিয়েছেন, সব নথিভুক্ত করে রেখেছেন তিনি। এমনকি ১০ হাজারেরও বেশি গ্রাহক তাঁর পরিষেবা সম্পর্কে কী মতামত দিয়েছেন, সেই নথিও আছে বিয়াট্রিসের কাছে।
সেখানেই বিয়াট্রিসের দাবি, যে পাঁচ লক্ষ গ্রাহককে তিনি পরিষেবা গিয়েছেন গত ৫৪ বছর ধরে, সেই ‘সন্তুষ্ট গ্রাহক’দের তালিকায় ছিলেন আমেরিকার ৪ প্রেসিডেন্টও।

অবসরের আগে বিয়াট্রিসের শেষ গ্রাহক ছিলেন বছর চৌত্রিশের এক জার্মান নাগরিক। শুধু মাত্র বিয়াট্রিসের টানে প্রায় ৮,৭০০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে এসেছিলেন হামবুর্গের ওই বাসিন্দা।
যৌনপেশায় সবচেয়ে বেশি গ্রাহককে ‘সন্তুষ্ট’ করার রেকর্ড ছিল আমস্টারডমের যমজ বোন লুই এবং মার্টিস ফকেনসের দখলে। ৫০ বছরের পেশাগত জীবনে যৌথ ভাবে সাড়ে তিন লক্ষের বেশি গ্রাহককে পরিষেবা দিয়েছেন তাঁরা। সেই রেকর্ড একা ভেঙেছেন বিয়াট্রিস।


এবার গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নিজের নাম তুলতে চান তিনি।

বিঃ দ্রঃ বিয়াট্রিস থমসনের ছবি ছাড়া অন্যান্য ছবি প্রতীকী।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *