আজ খবর ডেস্ক:
রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পুজো বা কোনও উৎসব আসে জনসংযোগের মাধ্যম হিসেবে।
যেমন রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) অথবা প্রধান বিরোধী দল বিজেপি (BJP), পুজো উদ্বোধন আর মণ্ডপে মন্ডপে ঘোরার মধ্য দিয়ে আমজনতার সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন নেতারা।
কিন্তু এবার পুজোয় অন্য পথে হাঁটল সিপিআইএম (CPIM)।
মহালয়ার পর থেকেই শুরু হয়েছিল ডিজিটাল মাধ্যমে দলের প্রচার। কখনও রবীন্দ্রনাথের সহজ পাঠের আদলে কখনও আবার ছবির সঙ্গে একটি বাক্যের ক্যাচ লাইন। যা মন কেড়েছে ছাত্র যুবদের।
এমনিতে প্রত্যেক বছরই রাজ্যজুড়ে মার্কসীয় সাহিত্যের স্টল দেওয়া হয়। এবার ও তার অন্যথা হয়নি। কলকাতার অধিকাংশ স্টলে অন্তত একবার হলেও দেখা গিয়েছে বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্র, মহ. সেলিমের মত দলের সিনিয়র নেতাদের।
অষ্টমীর দুপুরে ধর্মতলায় আন্দোলনরত, যোগ্য অথচ বঞ্চিত শিক্ষকপদপ্রার্থীদের সঙ্গে দেখা করলেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। বেশ কিছুক্ষণ রাস্তায় বসে সময় কাটালেন চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে। রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু যদিও বলেছিলেন, পুজোর পরে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে।
বিক্ষোভকারীরা যেন রাস্তা থেকে উঠে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে বাড়িতে পুজোর সময়টা কাটান। এমনকী, পুলিশের তরফেও বিক্ষোভ করার অনুমতি মেলেনি প্রাথমিকভাবে। কিন্তু নাছোড় বিক্ষোভ কারীদের বক্তব্য ছিল, হাতে নিয়োগপত্র না নিয়ে তাঁরা রাস্তা ছাড়বেন না। পরে কলকাতা হাইকোর্টের থেকে অনুমতি নিয়ে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন এই চাকরিপ্রার্থীরা।
এদিকে সপ্তমীর সন্ধেতে সিপিএম তৃণমূল সংঘর্ষে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল রাসবিহারী মোড়। রবিবার রাসবিহারী প্রতাপাদিত্য রোডের সিপিআইএম-এর মার্কসীয় ও প্রগতিশীল সাহিত্য বিক্রয় কেন্দ্রে হামলা ও ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সোমবার ৩রা অক্টোবর, বিকাল ৫ টায় রাসবিহারী এভিনিউ ও প্রতাপাদিত্য রোডের সংযোগস্থলে রবিবারের ঘটনার প্রতিবাদে জমায়েত ও সভা ডাকা হয়েছিল।
অভিযোগ, সেই সভা করার সময়ই তৃণমূলের সঙ্গে ফের বচসা বাধে। তারপরই পুলিশ গ্রেপ্তার করে সিপিএম কলকাতা জেলা সম্পাদক কল্লোল মজুমদার, পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়-সহ মোট ৯জনকে। তাঁদের লালবাজার নিয়ে যাওয়া হয়। একটা সময়ে কলকাতা পুলিশের সঙ্গে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের ধস্তাধস্তিও চোখে পড়ে। পুলিশের বিরুদ্ধে “তৃণমূলের দালাল” স্লোগান তোলেন সেখানে উপস্থিত সিপিআইএম-এর নেতা-কর্মী সমর্থকরা
এরপরই সন্ধের দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। উল্লেখ্য, ভেঙে দেওয়া সেই স্টল অষ্টমী থেকে আবার চালু হয়েছে।
জানা গিয়েছে, রাসবিহারীর কাছে সিপিএমের একটি বুকস্টলে ঝোলানো ছিল একটি ব্যানার। যাতে লেখা ছিল, “চোর ধরো জেল ভরো”। সিপিএমের অভিযোগ, এরপরই তৃণমূলের কয়েকজন কর্মী-সমর্থক এসে স্টলে ভাঙচুর চালায়। বই নষ্ট করে দেয়।