আজ খবর ডেস্ক:
পাক কর্মকর্তারা একটি সংসদীয় কমিটিকে বলেছেন যে, পাকিস্তান (Pakistan) থেকে গাধা (donkey) এবং কুকুর (dog) আমদানিতে আগ্রহ দেখিয়েছে চীন। আর্থিক সংকটে (cash-strapped) থাকা পাকিস্তান এভাবেই নিজেদের সংকট কিছুটা কাটিয়ে উঠতে চেষ্টা করছে।
বাণিজ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর, চীন (China) পাকিস্তান থেকে গাধার পাশাপাশি কুকুর আমদানিতেও (import) আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
সেনেটর আবদুল কাদির আরও জানান, চীনা রাষ্ট্রদূত পাকিস্তান থেকে মাংস রপ্তানির (export) বিষয়েও একাধিকবার কথা বলেছেন।
সেনেট স্থায়ী কমিটির (Senate Standing Committee) একজন সদস্য আরও পরামর্শ দিয়েছেন যে, যেহেতু আফগানিস্তানে পশু তুলনামূলকভাবে সস্তা, তাই পাকিস্তান সেখান থেকে মাংস আমদানি করে চীনে রপ্তানি করতে পারে। তবে, বাণিজ্য মন্ত্রকের কর্মকর্তারা কমিটিকে জানায় যে আফগানিস্তান থেকে পশু আমদানি সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
গাধার প্রতি চীনের গভীর আগ্রহের এক বিশেষ কারণ আছে। গাধার চামড়া, চীনা কবিরাজি ওষুধ, “ইজাও” (eijao) তৈরিতে ব্যবহার করে হয়। রক্তে পুষ্টি জোগাতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এই ওষুধ ব্যবহৃত হয়।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম গাধার জনসংখ্যা রয়েছে। বর্তমানে ৫.৭ মিলিয়ন গাধা রয়েছে পাকিস্তানে, এবং তারা এর আগেও চীনে পশু রপ্তানি করেছে।
গত বছর, পাঞ্জাব প্রদেশের ওকারা জেলায় ৩০০০ একরের উপরে একটি গাধার খামার স্থাপন করা হয়। দেশের সংকটে থাকা বিদেশী নগদ রিজার্ভকে (foreign cash reserve) গাধা রপ্তানির মাধ্যমে সাহায্য করার উদ্দেশ্যে নিয়েই এই খামার তৈরি করা হয়।
চীন এর আগে পশ্চিম আফ্রিকার নাইজার এবং বুরকিনা ফাসো থেকে গাধার আমদানি করত। কিন্তু সম্প্রতি, ঔ দুটি দেশ গাধা রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে। এর ফলে চীনে গাধা রপ্তানির এই বিপুল বাজার ধরতে চায় পাকিস্তান। তাই, উন্নত মানের গাধা প্রতিপালনের জন্য, প্রথম সরকারি এই খামার স্থাপন করা হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই খামার থেকে আমেরিকা, চীন সহ অন্যান্য দেশে গাধা রপ্তানি করেই পাকিস্তানের বর্তমান বিদেশি নগদের ঘাটতি কিছুটা দূর হবে।