আজ খবর ডেস্ক:
শান্তিনিকেতন (Santiniketan) বাঙালির অন্যতম প্রিয় পর্যটন কেন্দ্র (Tourist Spot)। শুধু তাই নয়, প্রত্যেক বছর বহু বিদেশি পর্যটক এখানে আসেন রবীন্দ্রনাথ (Rabindranath Tagore) এবং প্রকৃতির টানে।
আর সচরাচর শান্তিনিকেতনে এলে সোনাঝুরি হাট (Sonajhuri Haat) কেউ মিস করতে চান না। হাতে তৈরি হার-দুল থেকে বাটির প্রিন্টের পোশাক, বাউল গানে জমজমাট প্রাঙ্গণ — এখন শান্তিনিকেতনের অন্যতম আকর্ষণ।
এবার বীরভূম (Birbhum) জেলা প্রশাসনের তরফে সোনাঝুরি হাটে আধুনিক ফিটমেন্ট সহ একটি বাসকে সংস্কার করে একটি ‘লু-অন-হুইলস’ (Loo On Wheels) সুবিধা চালু করা হল। শান্তিনিকেতনে আসা পর্যটকদের জন্য নিঃসন্দেহে এটি একটি সুখবর।
বিশেষ করে মহিলা পর্যটকদের এই জনাকীর্ণ পর্যটন কেন্দ্রে এসে শৌচালয়ের (Toilet) সমস্যায় পড়তে হত। এমন পরিস্থিতি অতীতে একাধিকবার অস্বস্তিকর ঘটনা ঘটিয়েছে।
পর্যটকদের সুবিধার জন্য অবশেষে সোনাঝুরি হাটে নানা পরিষেবা সহ তৈরি হওয়া ভ্রাম্যমাণ বাসের উদ্বোধন হল গত শুক্রবার। জেলা প্রশাসনের তরফে ভ্রাম্যমাণ বাসটির উদ্বোধন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন জেলা সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী, জেলাশাসক বিধান রায়, অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) কৌশিক সিংহ সহ অনেকে।
বস্তুত, শান্তিনিকেতনে ঘুরতে আসা পর্যটকদের সমস্যার কথা মাথায় রেখে কয়েক মাস আগে এই রকম একটি বাসের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল জেলা প্রশাসন।
প্রসঙ্গত, সোনাঝুরি হাট আগে শান্তিনিকেতনে সাপ্তাহিক কারুশিল্পের বাজার ছিল। এখন ভিড় অনেক বেড়ে গিয়েছে। পর্যটকদের কাছেও এই কারুশিল্পের চাহিদা ব্যাপক। হাজার হাজার পর্যটক সপ্তাহান্তে কারুশিল্পের বাজারে সরাসরি কারিগরদের কাছ থেকে নানান জিনিস কেনার জন্য যান। তাই শুধু সপ্তাহের শেষ তিন দিন নয়, কমবেশি প্রায় প্রত্যেকদিন এই হাট বসে, বিশেষত পর্যটন মরশুমে।
পর্যটকদের সুবিধার্থে তৈরি এই বাসটি ঠিক কেমন দেখতে হয়েছে?
বাসটিতে ‘লু’ লেখা রয়েছে। তিনটি টয়লেট (Toilet), একটি চেঞ্জিং রুম (Changing Room), একটি ম্যাটারনিটি কর্নার (Maternity Corner) এবং শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধীদের (Physically challenged) জন্য একটি টয়লেট। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারাও এর আশেপাশে খাবারের স্টল খুলেছেন।
বীরভূম জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, একটি পুরনো বাসকে টয়লেটে পরিণত করতে প্রায় ২২ লক্ষ টাকা খরচ করা হয়েছে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর একদল মহিলা এটি পরিচালনা করছেন।
এখনও পর্যন্ত শান্তিনিকেতন হল পশ্চিমবঙ্গের প্রথম পর্যটন কেন্দ্র, যেখানে এই পরিষেবা চালু করা হয়েছে।
এই টয়লেট ব্যবহারের চার্জ ৩০ টাকা।
জানা গিয়েছে, এই অঞ্চলে স্থায়ী কাঠামো বা টয়লেট স্থাপন করার ক্ষেত্রে রাজ্য বন বিভাগের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
ইলু (ইলেক্ট্রনিক লু) – একটি ছত্তিশগড়-ভিত্তিক সামাজিক স্টার্ট-আপ (Social Start Up)। চলতি বছরের শুরুর দিকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে এই প্রস্তাবটি রেখেছিল।