আজ খবর ডেস্ক:
সোম, মঙ্গল দু রাত কেটেছে রাস্তায়। অনশন চলছে গত ২৩ ঘণ্টা ধরে (এই প্রতিবেদন লেখার সময়)।
বুধবার সকাল থেকে ফের স্লোগান চলছে সল্টলেকের করুণাময়ী চত্বরে। প্রাইমারি টেট নট ইনক্লুডেড (Primary TET Not Included) চাকরি প্রার্থীদের এই বিক্ষোভ নিয়ে অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) কোনও মন্তব্য করেন নি। উত্তরবঙ্গ সফরে যাওয়ার আগে শুধু বলেছিলেন, “মামলা বিচারাধীন, কোনও মন্তব্য করা ঠিক হবে না।”
একইভাবে নিশ্চুপ রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) ও। বস্তুত চাকরিপ্রার্থীদের এই ধর্না ঘিরে গত দুদিন ধরে যখন গোটা রাজ্য উত্তাল, তখন কোথাও দেখা মেলেনি শিক্ষা মন্ত্রীর।
ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে, এই আমরণ অনশন কতদিন চলবে? টেট জট কাটবে কীভাবে?
এই পরিস্থিতিতেই চাকরিপ্রার্থীদের ধর্নার বিরোধিতা করে বুধবার হাই কোর্টে (Calcutta High Court) গেল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (Primary Education Department)।
সোমবার থেকে বিক্ষোভ চলছে করুণাময়ীতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দপ্তর আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র (এপিসি) ভবনের সামনে। চাকরির দাবিতে দপ্তরের সামনে খোলা রাস্তাতেই শুয়ে বসে রয়েছেন টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা। বিধান নগর কমিশনারেটের তরফে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হলেও তাঁরা এক চুল নড়েন নি।
এদিন চাকরিপ্রার্থীদের ধর্নার বিরোধিতা করে আদালতে যায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পর্ষদের অভিযোগ, রাস্তা আটকে আন্দোলনের ফলে তাঁদের অফিসে ঢুকতে-বেরোতে চূড়ান্ত অসুবিধা হচ্ছে। ফলে কাজ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এমনকী, যেহেতু গতকাল চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ পর্ষদ অফিসের দিকে রওনা হয়েছিলেন তাই পর্ষদের কর্মীদের নিরাপত্তা দেওয়ার আবেদনও জানানো হয়েছে।
জরুরি ভিত্তিতে যাতে বুধবারই শুনানি হয়, তার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন পর্ষদের আইনজীবী। কিন্তু, সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পর্ষদের আবেদন শুনে তিনি মন্তব্য করেন, ‘‘এত দ্রুত শুনানির কী প্রয়োজন? এত দিন আন্দোলন চলছে, আর এক দিন চললে এমন কী অসুবিধা হবে?’’ এর পর পর্ষদকে মামলা দায়ের করে আদালতে আসার নির্দেশ দেন তিনি।
এদিকে, হাইকোর্ট নির্দেশে আজ বিকেল ৫ টায় “ভুয়ো নিয়োগ” খুঁজতে WBCSSC -র বৈঠক।
মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও মামলাকারী আইনজীবীর এই বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা।
যে বাতিল শূন্যপদ তৈরি হবে, তার তালিকা আগামী ১৬ই নভেম্বর আদালতে জমা করতে হবে।