আজ খবর ডেস্ক:
২০১৭ টেট পাস ট্রেইন্ড (TET Pass Trained) চাকরীপ্রার্থীরাও এবার অবস্থান আন্দোলনে বসলেন সল্টলেকে।
নয়া মোড় নিল চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন।
গত ৪দিন ধরে সল্টলেক করুণাময়ীতে (Saltlake Karunamoyee) ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণদের অনশন ও ধর্ণা চলছে। বৃহস্পতিবার পাল্টা অবস্থানে বসলেন ২০১৭-র টেট উত্তীর্ণরা। ২০১৭-র টেট উত্তীর্ণদের জমায়েতে বাধা দেয় পুলিশ। তাই করুণাময়ীতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (Primary Education Department) দপ্তরের সামনে থেকে সরে ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর (East West Metro) করুণাময়ী স্টেশনের সামনেই অবস্থানে বসলেন ২০১৭-র টেট উত্তীর্ণরা।

চলতি সপ্তাহের সোমবার রাত থেকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দপ্তর আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র (APC)) ভবনের সামনে টেট পাশ এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের আমরণ অনশন চলছে। গত দু’ দিনে অনশন মঞ্চে অসুস্থ হয়েছেন ১০ জনের ও বেশি চাকরিপ্রার্থী। ইতিমধ্যেই অনশনের ৪৮ঘণ্টা এবং ধর্ণার ৭৮ ঘণ্টা পার হয়ে গেছে। এখনও নিজেদের দাবিতে অনড় ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণ নন-ইনক্লুডেড চাকরিপ্রার্থীরা।
কিন্তু প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ জানিয়েছে, পদ্ধতি মেনে আবেদন ও ইন্টারভিউয়ে বসতে হবে ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের। বয়সের ক্ষেত্রেও মানতে হবে নির্দিষ্ট সীমা। এমনকী, আগে ইন্টারভিউ দেওয়া থাকলেও ফের বসতে হবে ইন্টারভিউতে। এদিকে আন্দোলনকারীদের দাবি, তাঁরা দু’-দু’বার ইন্টারভিউ দিয়েছেন, ফের ইন্টারভিউ দেবেন না তাঁরা।

এই আন্দোলন তোলার জন্য ইতিমধ্যেই একাধিকবার আদালতের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছে পর্ষদ। অভিযোগ, এই অবস্থানের জন্য পর্ষদের দৈনন্দিন কাজে বিঘ্ন ঘটছে।
অন্যদিকে, খোলা রাস্তায় সাদা কাপড় গায়ে দিয়ে শুয়ে চাকরি প্রার্থীরা বলছেন, তাঁরা “জীবন্ত লাশ”।

বৃহস্পতিবার থেকে এই বিক্ষোভে (protest) সামিল হলেন ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরাও। যদিও চাকরিপ্রার্থী আন্দোলনের নেতা, ইন্দ্রজিৎ ঘোষ aajkhobor.com কে বললেন, “২০১৪র সঙ্গে ২০১৭ চাকরিপ্রার্থীদের কোনও বিরোধ নেই। একটি নোটিফিকেশন ২০২০ সালের। অপরটি ২০২২এর। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের উস্কানিমূলক আচরণ করে চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে বিভেদ তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে। পর্ষদ ২০২০র কিছু সিট ২০২২র সঙ্গে জুড়ে দিতে চাইছে। ইতিমধ্যেই আদালতে ৩৯১২টি সিটের জন্য হলফনামা জমা পড়েছে, যা ২০১৪র চাকরিপ্রার্থীদের পাওনা। সবটা একসঙ্গে জুড়ে দেওয়ার জন্য এই সমস্যা হচ্ছে।”


যদিও ওয়াকিবহাল মহলের প্রশ্ন, এভাবে রাস্তায় বসে লাগাতার ধর্ণা-অনশন চালিয়ে গেলেই কি চাকরি মিলবে?

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *