আজ খবর ডেস্ক:
তিনি নিঃসন্দেহে বাংলার “গৌরব”। ক্রিকেট মাঠে বারবার তাঁর লড়াকু প্রত্যাবর্তন মুগ্ধ করেছে গোটা দেশকে। তাই BCCI থেকে সরে আসার পর, তাঁর ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা এখন দেশ জুড়ে “ট্রেন্ডিং” (Trending)। তিনি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly)।


একদিকে গত কয়েক বছর ধরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) পুত্র জয় শাহের (Jay Shah) সঙ্গে সৌরভের ঘনিষ্ঠতা, একসঙ্গে BCCI তে কাজ করা! আবার অন্যদিকে, সৌরভকে যাতে ICC প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়ার সুযোগ দেওয়া হয় তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) কাছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) আর্জি।
সব মিলিয়ে যেন ক্রিকেট আর রাজনীতির ককটেল!

এর মধ্যেই সৌরভের পরবর্তী গন্তব্য হিসাবে উঠে এসেছিল সিএবির (CAB)। সৌরভ নিজেই স্বীকার করেছিলেন, নির্বাচনে জিতে বাংলার ক্রিকেট প্রশাসকের দায়িত্ব সামলাতে চান তিনি।
গতকাল অর্থাৎ শুক্রবারও সিএবিতে এসে সৌরভ জানিয়েছিলেন, “আমি আগেই ঘোষণা করেছি প্রেসিডেন্ট পদে দাঁড়াচ্ছি। কোনও বিরোধী পক্ষ নেই।” সৌরভপ্রেমীরা চাইছেন, যেভাবে নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে ভারতীয় ক্রিকেটকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন, ঠিক সেভাবেই নিজের রাজ্যে ক্রিকেট সংস্থার জন্য কাজ করবেন “মহারাজ”।

শনিবার সিএবিতে সভাপতি পদে মনোনয়ন জমা দিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, তাঁর বিরোধিতায় কোনও মনোনয়ন জমা পড়েনি এখনও। যদিও মনোয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৩শে অক্টোবর।
শুধু সভাপতি পদের লড়াই নয় এটি। সচিব, সহ সচিব, সহ সভাপতি, কোষাধ্যক্ষ— পদগুলিরও নির্বাচন হবে। এই পদে লড়াইয়ের মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে। কিন্তু এখন প্রশ্ন হল, আদেও কী এইসব পদে নির্বাচন হবে? কারণ সভাপতি পদে সৌরভের লড়াই নিয়ে যেমন আলোচনা হচ্ছে, তেমন আলোচনা কিন্তু এইসব পদের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে না। সূত্রের খবর, শাসক ও বিরোধী পক্ষের মধ্যে সমঝোতা করেই এইসব পদগুলি বণ্টন করা হবে।

সংশ্লিষ্ট মহলে প্রশ্ন উঠেছে, ইলেকশন (Election) না হয়ে শুধু সিলেকশন (Selection) হলেও কি সৌরভ সিএবির প্রেসিডেন্ট হিসেবে গদিতে বসবেন? কারণ সৌরভ নিজে প্রকাশ্যে নির্বাচনের কথা বলায়, নির্বাচন ছাড়াই সিএবি সভাপতি হিসেবে সমালোচনার মুখোমুখি হতে পারেন তিনি। অনেকেই মনে করছেন সেটা সৌরভের ইমেজের জন্য ভাল হবে না।
আবার এই প্রসঙ্গে সামনে আসছে অন্য আরেকটি সম্ভাবনা। সেখানে বলা হচ্ছে ইলেকশন না হয়ে যদি সিলেকশন হয়, সেক্ষেত্রে সৌরভ সভাপতি না-ও হতে পারেন। সেরকম পরিস্থিতি যদি হয়, তাহলেও সিএবি সভাপতির পদ থাকবে গঙ্গোপাধ্যায় পরিবারেই। স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম ভেসে উঠছে সিএবির প্রেসিডেন্ট হিসেবে। এর আগে সিএবি প্রশাসনেই ছিলেন সৌরভের দাদা। সচিব হিসেবে বেশ কিছুদিন দায়িত্বে ছিলেন তিনি। ভাইস-প্রেসিডেন্ট হিসেবে নাম ভাসছে বিশ্ব মজুমদারের।

প্রসঙ্গত এর আগে পাঁচ বছর সিএবি-তে ছিলেন সৌরভ। লোধা কমিটির (Lodha Committee) নিয়ম অনুযায়ী, আরও চার বছর থাকতে পারেন। অতীতে নিজের উদ্যোগে বাংলা ক্রিকেটের জন্য একাধিক স্পন্সর (Sponsor) জোগাড় করে দেওয়ার থেকে শুরু করে বিশেষ ট্রেনিং পদ্ধতি এবং বাংলা ক্রিকেট দলকে বিদেশে পাঠানো, সবই করেছিলেন সৌরভ।


সিএবির শেষ কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন নরেশ ওঝা। তিনি কোষাধ্যক্ষ হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন। এমনটাই খবর। বর্তমান কমিটির কোষাধ্যক্ষ দেবাশিস গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম-ও রয়েছে এই পদের জন্য দৌড়ে। সম্ভাব্য সচিব হতে পারেন প্রবীর চক্রবর্তী। যুগ্ম সচিব হিসেবে দায়িত্ব চালিয়ে যেতে পারেন দেবব্রত দাস।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *