আজ খবর ডেস্ক:
রাজ্যজুড়ে চাকরির (Employment) জন্য হাপিত্যেশ যুব সম্প্রদায়ের। অন্যদিকে বিরোধীদের ক্রমাগত খোঁচা, শিল্পায়ন (Industrialization) হচ্ছে না। ফলে, ২১শের ভোটে জিতে তৃতীয় বার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর কর্মসংস্থান এবং রাজ্যে শিল্প আনাই মূল লক্ষ্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)।


রবিবার কলকাতার নেতাজি স্পোর্টিং ক্লাবে (Netaji Sporting Club) ছটপুজোর (Chhath Puja 2022) অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কর্মসংস্থানের কথা। মমতা বলেন, ‘‘ছটমাইয়ার কাছে প্রার্থনা করি, যেন আপনাদের ছেলেমেয়েদের চাকরি হয়। সবাই ভাল থাকে।’’


অন্যদিকে, ফের শাসকদলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে সরব রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর অভিযোগ, জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের মন্ত্রী পুলক রায় (State PWD Minister Pulak Roy) জল জীবন মিশন প্রকল্পে প্রায় ৯০০ কোটি টাকার দুর্নীতি করেছেন। শনিবার হাওড়ার শিবপুর কাজিপাড়ায় সনাতন প্রভারি ছটপুজোর একটি অনুষ্ঠানে বস্ত্র বিতরণ করতে এসে এই অভিযোগ তোলেন তিনি।

মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর কর্মসংস্থান এবং রাজ্যে শিল্প আনাই মূল লক্ষ্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)। বার্তা, ছটপুজোর সময় অশান্তির কোনও ঘটনা যেন না ঘটে। সবাইকে সতর্ক থাকতে বলেন তিনি। জানান, ভক্তদের কথা মাথায় রেখে এ বার পুকুর ও জলাশয়ের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। কোনও অসুবিধা হলে যেন স্থানীয় প্রশাসন বা ক্লাবে জানানো হয়। সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তার পরেই মমতা বলেন, ‘‘এই সময়ে গন্ডগোল বাধানোর ছক কষতে পারে অনেকে। কিন্তু কেউ তাতে পা দেবেন না। সবাই ধীরেসুস্থে পুজো দেবেন।’’


অপরদিকে রীতিমত চাঁচাছোলা ভাষায় তোপ দেগে শনিবার শুভেন্দু বলেন, ‘‘জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের মন্ত্রী পুলক রায় জল জীবন মিশন প্রকল্পে প্রায় ৯০০ কোটি টাকার দুর্নীতি করেছেন। এই বড় দুর্নীতির যাবতীয় তথ্য আমার কাছে এসেছে। কিছুদিন বাদে সব তথ্য ফাঁস করব।’’
তাঁর বিরুদ্ধে বিরোধী দলনেতার তোলা এই অভিযোগ সম্পর্কে রাজ্যের মন্ত্রী পুলক রায় অবশ্য এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেন নি।

শাসকদলের আর্থিক দুর্নীতির পাশাপাশি রাজ্যের সরকার কার্যত “দেউলিয়া” হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেন বিরোধী দলনেতা। কেন্দ্রের কাছ থেকে ৮ হাজার কোটি টাকা নিয়ে সরকারি কর্মচারীদের বেতন মেটানো হচ্ছে বলেও দাবি তাঁর। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারের কাছে সরকারি কর্মচারীদের বেতন দেওয়ার টাকা নেই। অক্টোবর, নভেম্বর মাসের বেতন সরকার ম্যানেজ করতে পারলেও সরকারি কর্মচারীদের ডিসেম্বর মাসের বেতন ম্যানেজ করতে পারেনি। তাই কেন্দ্রের কাছ থেকে টাকা চাইছে। কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত রাজ্যকে আর কোনওরকম ঋণ না দেওয়া। এটা একটা দেউলিয়া সরকার।’’


প্রসঙ্গত, এসএসসি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ড (SSC Scam) নিয়ে এই মুহূর্তে সরগরম রাজ্য। চাকরির দাবিতে মাছের পর মাস রাজপথে কাটাচ্ছেন চাকরি প্রার্থীরা। এই পরিস্থিতিতে “ছটি মাইয়া”র কাছে মুখ্যমন্ত্রীর চাকরি প্রার্থনা নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *