আজ খবর ডেস্ক:
TET News প্রাথমিক টেট (Primary TET) নিয়োগ পরীক্ষার দিন যত এগিয়ে আসছে, ততই একের পর এক নতুন মামলা হচ্ছে হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। এবার টেট সংক্রান্ত একটি মামলায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে কার্যত হুঁশিয়ারি দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay)। ২০১৭-র টেট প্রার্থীরা উত্তীর্ণ হিসেবে চিহ্নিত হলেও ২০১৪-র টেট প্রার্থীদের ক্ষেত্রে কেন তা হয়নি, তা নিয়েই মামলা হয় আদালতে। বুধবার ছিল সেই মামলার শুনানি। শুনানি চলাকালীন পর্ষদকে বিচারপতি বলেন, “যদি দেখি আইন মানা হচ্ছে না, পরীক্ষা বন্ধ করে দেব”।
এদিকে সোমবার রাতেই ২০১৭ সালের টেটের (TET 2017) মেধা তালিকা (Merit List) প্রকাশ করেছে পর্ষদ। কিন্তু সেই তালিকা বিকৃত (Tampered) করার পাশাপাশি তালিকায় কারচুপির অভিযোগ উঠেছে।এই অভিযোগ তুলে এবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হল।
নম্বর-সহ মেধা তালিকা প্রকাশ করেছে পর্ষদ, কিন্তু তা নিয়ে এবার সংশয় দেখা দিল।
সূত্রের খবর, এদিন মামলাকারীদের পক্ষে আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় “একান্তে” বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেন। সেখানেই তিনি বিচারপতিকে জানান, জানুয়ারি মাসে প্রকাশিত নম্বরের সঙ্গে সোমবারের মেধাতালিকার নম্বরের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। TET News এক প্রার্থীর ওএমআর শিট (OMR Sheet) দেখিয়ে জানান, এক প্রার্থী জানুয়ারি মাসে ২৪ পেয়েছিলেন, কিন্তু সোমবার মেধাতালিকায় তাঁর নম্বর বেড়ে হয়েছে ৮২।
অপরদিকে, গান্ধীমূর্তির পাদদেশে চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান বিক্ষোভে পুলিশি বাধার বিরুদ্ধে মামলা হল কলকাতা হাই কোর্টে। বুধবার মামলা দায়েরের অনুমতি মিলেছে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার থেকে। বৃহস্পতিবার মামলাটির শুনানি হতে পারে।
২০১২ এবং ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীরা চাকরির দাবিতে পথে নেমেছেন। পুজোর আগে হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে তাঁদের গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ৫ দিনের জন্য ধর্নায় বসার অনুমতি দিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু তার পর সেখান থেকে তাঁদের তুলে দেওয়া হয়। অভিযোগ, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশ বাধা দিচ্ছে। গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ধর্না চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিচ্ছে না পুলিশ। পুলিশের এই জুলুমের বিরুদ্ধেই উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন চাকরিপ্রার্থীরা।