আজ খবর ডেস্ক:
Bangla Pokkho শিলিগুড়ির প্রধাননগরে বাঙালি ব্যবসায়ী সুদীপ্ত সাহাকে অকথ্য নির্যাতন! মেরে ফাটিয়ে দেব হয় মুখ। প্রতিবাদে পথে নামল বাংলা পক্ষ (Bangla Pokkho)।
গত ১৫ই নভেম্বর এক চিলতে চায়ের দোকানে এসে মোটা টাকার দাবি করেন কিছু যুবক। সেই টাকা না দিতে পারায় শিলিগুড়ির এক বাঙালি ব্যবসায়ীর ওপর হামলা চালানো হল। টাকা না দেওয়ায় ওই ব্যবসায়ীর মুখে ঘুষি মারার পাশাপাশি কপালে বন্দুকের বাট দিয়ে মারা হয় বলে অভিযোগ।সোমবার রাতে শিলিগুড়ির প্রধাননগরের নিবেদিতা রোডে ঘটনাটি ঘটে। ওই ব্যবসায়ী বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

নিবেদিতা রোডে বহুদিন ধরে একটি চায়ের দোকান রয়েছে বিবেকানন্দ পল্লীর বাসিন্দা সুদীপ্ত সাহার। হাসপাতালের বেডে শুয়ে তাঁর অভিযোগ, সোমবার রাতে তিনি দোকান বন্ধ করছিলেন। সেসময় তাঁর দোকানে কয়েকজন যুবক আসে। সুদীপ্তর কাছে ১ লক্ষ টাকা দাবি করে তাঁরা। তিনি জানান, এত টাকা দিতে পারবেন না। প্রথমে তাঁকে গালিগালাজ, ঘুষি, চড় থাপ্পড় ও পরে কপালে বন্দুকের বাট দিয়ে মারা হয়।

মঙ্গলবার প্রধাননগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন জখম সুদীপ্তর দাদা। যেখানে তিনি জানান, চন্দন প্রসাদ, রাজেশ সোনি, রকি উপাধ্যায় ও অমিত প্রসাদ নামের ৪যুবক দোকানে এসে টাকার দাবি করে ও টাকা না দেওয়ায় হামলা করে সুদীপ্তর ওপর।
অভিযোগে আরও জানানো হয়, এর আগেও এভাবে টাকা দাবি করেছিলেন ৪ যুবক।

আক্রান্ত ব্যবসায়ীর চিৎকারে এলাকার কয়েকজন ছুটে আসায় হামলাকারী ৪ যুবক সেখান থেকে পালিয়ে যায়। যাওয়ার সময় সুদীপ্তকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়।
সঙ্গে সঙ্গেই গুরুতর জখম সুদীপ্তকে শিলিগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে ফের হাসপাতালে এসে জখম ব্যবসায়ীর ওপরে চড়াও হয় আক্রমণকারী যুবকরা। হাসপাতালে থাকা কিছু মানুষ ছুটে আসলে সেখান থেকেও পালিয়ে যান তাঁরা।
অভিযোগ পেতেই তদন্ত শুরু করেছে প্রধাননগর থানার পুলিশ। একজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ কমিশনার অখিলেশ কুমার চর্তুবেদী। শহরে একের পর এক এমন ঘটনায় উদ্বেগে রয়েছেন শিলিগুড়ির ব্যবসায়ীরা।

এবার আক্রান্ত বাঙালি ব্যবসায়ীর পাশে দাঁড়াল বাংলা পক্ষ। মঙ্গলবার রাতেই আক্রান্ত সুদীপ্ত সাহার সঙ্গে সংগঠনের শিলিগুড়ি জেলা সম্পাদক গিরিধারী রায়ের নেতৃত্বে হাসপাতালে দেখা করেন সদস্যরা।
এদিন সুদীপ্ত সাহার পাশে দাঁড়িয়ে তাঁর দোকানের সামনে কর্মসূচী করে বাংলা পক্ষ৷ প্রশাসনের কাছেও যাওয়া হয়েছে, যাতে অপরাধীদের দ্রুত সাজা হয়। শিলিগুড়ি পুলিস কমিশনারেটে ডেপুটেশন দেওয়া হয়েছে। আগামী দিনে যাতে শিলিগুড়িতে এমন ঘটনা না ঘটে সেজন্য দাবি জানানো হয়েছে।

বাংলা পক্ষর দাবি, রাজ্যের শহর ও মফস্বল এলাকায় বহিরাগতদের “তাণ্ডব” বাড়ছে, প্রতিদিন আক্রান্ত হচ্ছেন ভূমিপুত্র বাঙালি। তাই বাংলাকে বহিরাগত ক্রিমিনালমুক্ত করতে হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *