আজ খবর ডেস্ক:
Time machine আমরা অনেকেই ছোটবেলায় এইচ জি ওয়েলসের (H.G.Wells) লেখা, কল্প বিজ্ঞানের বই “দ্যা টাইম মেশিন” (The Time Machine) পড়েছি, যেখানে টাইম মেশিন নামক এক যন্ত্রের মাধ্যমে ভবিষ্যতে বা অতীতে চলে যাওয়া সম্ভব হতো।

আপনাদের এমনই একটি দেশের খোঁজ দেবো, যেখানে গেলে মনে হবে অতীতে পৌঁছে গেছেন। না, কোনো টাইম মেশিন লাগবে না, সাধারণ ভাবেই বিমানে, বা সড়কপথে যেতে পারেন আফ্রিকা মহাদেশের এই দেশ, ইথিয়োপিয়ায় (Ethiopia)।

এবার আসা যাক ইথিয়োপিয়ার বৈশিষ্ট্যর কথায়। পূর্ব আফ্রিকার এই দেশটি বিশ্বের অন্যান্য দেশের থেকে সাত বছর পিছিয়ে রয়েছে। আপনি হয়তো ভাবছেন কেন পিছিয়ে আছে? ইথিওপিয়া কপ্টিক ক্যালেন্ডার (Coptic calendar) ব্যবহার করে, এবং বাকি বিশ্ব যা গ্রহণ করে তা হল গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার (Gregorian calendar)।

ইথিওপিয়ান অর্থোডক্স চার্চ খ্রিস্টের জন্মের বিষয়ে রোমান ক্যাথলিক চার্চের সাথে একমত নয়। গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারটি যিশু যে বছর জন্মগ্রহণ করেছিলেন সেই বছরের গণনাতে ফ্যাক্টর করা হয়। অপরদিকে, কপ্টিক ক্যালেন্ডারটি আলেকজান্দ্রিয়ার মিশরীয় সন্ন্যাসী-ঐতিহাসিক অ্যানিয়ানাস দ্বারা আগত ঘোষণার (যীশুর ধারণা, জন্ম নয়) গণনার ক্ষেত্রে ফ্যাক্টর করা হয়।

ইথিওপিয়ার ক্যালেন্ডার এই ধারণায় অনুপ্রাণিত যে, অ্যাডাম এবং ইভ (Adam and Eve) তাদের পাপের জন্য বহিষ্কৃত হওয়ার আগে সাত বছর ধরে ইডেন বাগানে (Garden of Eden) বসবাস করেছিলেন। তারা অনুতপ্ত হওয়ার পরে, বাইবেল বলে যে, তারা অনুতপ্ত হওয়ার ৫৫০০ বছর পরে ঈশ্বর তাদের রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

ইথিওপিয়ানরা ক্যালেন্ডার গণনা করার জন্য ব্যবহৃত পদ্ধতিকে বাহেরে হাসাব (Bahere Hasab) বা ‘চিন্তার সমুদ্র’ বলে।

ইথিওপিয়ান ক্যালেন্ডারে এটি সহজ নিয়ম আছে, ১২ মাসের প্রতিটিতে ৩০ দিন থাকে এবং ১৩ তম বছরের শেষ মাসে বাকি পাঁচ বা ছয় দিন থাকে।

প্রসঙ্গত, ইথিওপিয়ায় সময়ও আলাদাভাবে গণনা করা হয় – দিনটিকে ০৬:০০ থেকে শুরু করে দুটি ১২-ঘণ্টার স্লটে বিভক্ত করা হয়, যা ইথিওপিয়ান সময়ে মধ্যাহ্ন ও মধ্যরাত উভয়ই ছয়টা করে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *