আজ খবর ডেস্ক:
Governor Oath উপলক্ষ্য ছিল নতুন রাজ্যপালের (CV Ananda Bose) শপথ গ্রহণ। অনুষ্ঠান স্থল, রাজভবন। নিয়ম মাফিক আমন্ত্রণপত্র পৌঁছেছিল সবার কাছেই। তবে বিরোধী শিবিরের দুই প্রধান নেতার দু’রকম আতিথেয়তা জুটল।
রাজ্যের ২২ তম স্থায়ী সাংবিধানিক প্রধান হিসাবে শপথ নিলেন সি ভি আনন্দ বোস।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) , বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু (Biman Basu), বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যারা। ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধীও। তবে, পশ্চিমবঙ্গের নতুন রাজ্যপালের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়েও আসেন নি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

নতুন রাজ্যপালকে শুভেচ্ছা জানিয়ে টুইট করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের না আসার কারণ প্রকাশ করেছেন তিনি।
নতুন রাজ্যপালকে টুইটারে অভিনন্দন জানিয়ে শুভেন্দু লিখেছেন, রাজভবনে রাজ্যপালের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে কৃষ্ণ কল্যাণী ও বিশ্বজিৎ দাসের পাশেই বসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল রাজ্যের বিরোধী দলনেতার। Governor Oath

এই দুই বিধায়কই ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে জয়ী হন। এখনও খাতায় কলমে বিজেপি বিধায়ক হলেও বাস্তবে দুজনেই বিজেপি ত্যাগ করে তৃণমূলের সঙ্গী। এমনকী, দলত্যাগ বিরোধী আইনে তাঁদের বিরুদ্ধে বিধায়ক পদ খারিজের মামলা এনেছে গেরুয়া শিবির। কার্যত দলত্যাগী দুই বিধায়কের পাশে শুভেন্দু অধিকারীর বসার ব্যবস্থা করায় বেজায় বিরক্ত বিরোধী দলনেতা।

এদিকে সিভি আনন্দ বোসের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে চোখে পড়ল রাজনৈতিক সৌজন্যের এক অন্য ছবি। শপথ শেষে নতুন রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রী এবং মন্ত্রিসভার সদস্য-সহ উপস্থিত অতিথিদের সঙ্গে তখন সৌজন্য বিনিময় করছেন।
শপথ অনুষ্ঠানে দ্বিতীয় সারিতে বসেছিলেন সিপিআইএম (CPIM) নেতা তথা বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। হঠাৎ নজরে আসতেই বিমানের দিকে প্রায় ছুটে আসেন মমতা। জানতে চান, “বিমানদা কেমন আছেন? পিছনে বসে কেন, সামনে আসুন।” সকলের সামনেই বিমানের হাত ধরে সামনের সারিতে একটি চেয়ার টেনে এনে বসান মুখ্যমন্ত্রী। দু’জনের খানিক সময় কথা হয়।


নতুন রাজ্যপাল হাত নেড়ে বিমান বসুর সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করেন। নিজের আসন ছেড়ে উঠে গিয়ে প্রবীণ সিপিএম নেতার সঙ্গে কথা বলেন গোপালকৃষ্ণ গান্ধীও।

রাজভবন থেকে বেরনোর সময় বিমান বলেন, মুখ্যমন্ত্রী তাঁর শরীর-স্বাস্থ্যের খোঁজ নিয়েছেন। সুস্থতা কামনা করেছেন।
অন্যদিকে, শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, পরবর্তী সময়ে তিনি রাজ্যপালের সঙ্গে পৃথকভাবে দেখা করতে পারেন।


এদিনের অনুষ্ঠানে বিজেপি ও কংগ্রেসের তরফে কাউকে দেখা যায়নি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নামে চেয়ার রাখা ছিল। তবে শুভেন্দুর মত সুকান্ত ও এদিন যাননি শপথ অনুষ্ঠানে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *