আজ খবর ডেস্ক:
Mamata vs BJP বঙ্গ বিজেপির (BJP Bengal) ৩ মুখ! পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ৩ জন যেন ৩ দিশায়। জল্পনা শুরু হয়েছিল সেখান থেকেই। আর তাতে যেন আংশিক শিলমোহর পড়ল শুক্রবার রাজ্য বিধানসভায়। ফুলটাস পেয়ে ছক্কা মারতে ছাড়লেন না প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।
Mamata vs BJP যদিও জেলা সফরে থাকা বর্তমান রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) আপাতত মুখ বন্ধ রেখেছেন। গেরুয়া অন্দরে অবশ্য জল্পনা, সময় মত মুখ খুলবেন সুকান্ত। আর দিলীপ ঘোষের সঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) সম্পর্ক যে ‘অম্ল মধুর’, তা বিলক্ষণ জানেন সকলে।

শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) আমন্ত্রণে তাঁর ঘরে গিয়েছিলেন শুভেন্দু। একা যাননি অবশ্যই। সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন অন্য দুই বিজেপি বিধায়ক অশোক লাহিড়ী, মনোজ টিগ্গা এবং অগ্নিমিত্রা পালকে (Agnimitra Pal)।
মাত্র চার মিনিটের সৌজন্য সাক্ষাতে চা খাওয়া হয়নি। তবে গোটা ঘটনা বিস্তর আলোড়ন তৈরি করেছে বঙ্গ রাজনীতির ভেতর ও বাইরে। যার আঁচ পড়েছে বঙ্গ বিজেপির অন্দর মহলেও।


মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ে হাত দিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর প্রণাম করা নিয়ে এবার ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ৷ এ দিন সকালে ইকো পার্কে প্রাতভ্রমণে গিয়ে দিলীপ বলেন, “অনেকে কালীঘাটে যান প্রণাম করতে, উনি বিধানসভায় করেছেন৷”

সূত্রের খবর, শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে ঢুকে মুখ্যমন্ত্রীর পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন বিরোধী দলনেতা৷ শুক্রবার সকালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শুভেন্দু অধিকারীর এই সৌজন্য বিনিময় নিয়ে দিলীপ ঘোষকে প্রশ্ন করা হলে বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ সভাপতি বলেন, “ওনাদের দীর্ঘ দিনের পুরনো সম্পর্ক, কী আছে জানি না৷ অনেকে কালীঘাটে গিয়ে প্রণাম করে আসেন, উনি ওখানে করেছেন৷ এটা ব্যক্তিগত বিষয়৷ পাবলিক ম্যাটার হওয়া উচিত নয়৷”
প্রসঙ্গত, শুধু ঘরে ডেকে পাঠানো নয়, শুক্রবার বিধানসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর নাম না করেই তাঁকে ‘ভাই’ সম্বোধন করেন মমতা৷

দিলীপ-শুভেন্দুর রসায়ন নিয়ে বিজেপি-র অন্দরে এমনিতেই অনেক প্রশ্ন রয়েছে৷ এই পরিস্থিতিতে শুভেন্দুর, মমতার ডাকে সাড়া এবং পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম গেরুয়া শিবিরের ভিতরের সমীকরণ আরও জটিল করে তোলে কি না, তাও রাজনৈতিক মহলের কাছে এখন কৌতূহলের বিষয়। কারণ একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকেই বিজেপির মধ্যে আদি ও নব্য সংঘাত চলছিল। তৃণমূল থেকে যাঁরা বিজেপিতে তখন গিয়েছিলেন, তাদের অনেকেই আবার পুরনো দলে ফিরে এসেছেন। যদিও সায়ন্তন বসুর মত পুরনো বিজেপি কর্মীদের একাংশের বক্তব্য, দলে তাঁদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। এর মধ্যে মমতা-শুভেন্দুর সৌজন্য সাক্ষাৎ যথেষ্ট কৌতুহলপ্রদ বলেই মনে করা হচ্ছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *