আজ খবর ডেস্ক : সম্প্রতি শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি গোটাবায়া রাজাপাকসে একটি বিশেষ গেজেট জারি করেছেন। যেখানে বলা হয়েছে, তারা একটি মার্কিন কোম্পানির সাথে একটি জ্বালানি চুক্তি করবে। আর সেই নিয়ে বেশ কিছু সময় ধরে ট্রেড ইউনিয়নগুলির তরফ থেকে আসা লাগাতার হুমকির পর, সরকার এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে, প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলির সাথে যুক্ত কর্মচারীদের ধর্মঘট করা সরকার সম্পূর্ন রূপে নিষিদ্ধ করবে।

গেজেট অনুসারে, পেট্রোলিয়াম পণ্য এবং তরলীকৃত গ্যাস সহ সমস্ত জ্বালানী সরবরাহ ও বিতরণ সম্পর্কিত সমস্ত পরিষেবা, শ্রীলঙ্কা রেলওয়ে বিভাগের মালবাহী পরিবহন এবং যাত্রীবাহী গণপরিবহন পরিষেবা, সরকারী প্রশাসন, বীমা পরিষেবা, খাদ্য পরিষেবা সংস্থাগুলি এবং ডাক পরিষেবাগুলি অপরিহার্য পরিষেবা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

একটি মার্কিন সংস্থার সাথে একটি বিদ্যুৎ খাতের চুক্তি প্রতিবাদে ইউটিলিটি ট্রেড ইউনিয়নগুলি প্রতিবাদ ও ধর্মঘটের হুমকির দেওয়ার পরই , সেখানকার প্রেসিডেন্টের তরফ থেকে এই নির্দেশ ঘোষণা করা হয়। ক্ষমতাসীন সরকারি জোটের একটি ক্ষুদ্র অংশের দলীয় প্রতিনিধিদের তরফ থেকেও সরকারের এই নির্দেশকে ঘিরে অভ্যন্তরীণ বিরোধ দেখা দেয় সেখানে।

মার্কিন ভিত্তিক নিউ ফোর্টেস এনার্জি ইনক এর সাথে প্রস্তাবিত চুক্তির বিষয়ে আলোচনা করার জন্য রাজাপাকসের মিত্র দলগুলির সঙ্গেও রাজধানী কলম্বোয় বৈঠক করেন।তারপর সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে, যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক নিউ ফোর্টেস এনার্জি প্লান্টের কথা ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কা সরকার। তখন সেই বিষয়ে জানানো হয় যে, এটি রাষ্ট্র-চালিত সিলন ইলেকট্রিসিটি বোর্ড (সিইবি) এর সাথে একটি ৩১০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্লান্টের মাধ্যমে দৈনিক ১.২ মিলিয়ন গ্যালন তরল প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ করার জন্য এই চুক্তি করা হয়েছে। এর থেকে ভবিষ্যতে আরও ৭০০ কেরাওয়ালপিটিয়ায় মেগাওয়াট প্ল্যান্ট তৈরি করা হবে।

পেট্রোলিয়াম ট্রেড ইউনিয়নগুলি অভিযোগ, যে মার্কিন সংস্থার সাথে এই তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) নিয়ে চুক্তি করা হলে, দেশের কয়েক মিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হতে পারে।এই নিয়ে ইতিমধ্যে সেখানকার মন্ত্রিসভার দুইজন মন্ত্রী চুক্তি বন্ধের দাবিতে নিজদের পদত্যাগের হুমকি দিয়েছেন। তারা আরও দুটি চুক্তি বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন, যা আগামীদিনে স্বাক্ষরিত হতে চলেছে।তাদের তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে যে এই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হলে দেশের মালিকানায় বিদেশিদের একচেটিয়া আধিপত্য তৈরি হতে পারে, যা দ্বীপের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকারক।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *