আজ খবর ডেস্ক : বিয়ে একটি পবিত্র বন্ধন। বহু নিয়ম কানুন মেনে সামাজিক পন্থায় বিয়ে হয়ে থাকলেও, মূলত দুটি মানুষের সারাজীবন একসঙ্গে থাকার সংকল্প নিয়ে মিলনকেই বিয়ে বলা হয়।আমরা প্রত্যেকে হয়তো এটাই জানি যে, দুটি মানুষ এক আনুষ্ঠানিক ভাবে এই সমাজিক বন্ধনে আবদ্ধ হলেই বিয়ে হয়ে যায়। তবে দুটো ভিন্ন মানুষ যখন এক গাঁটছড়ায় বাঁধা পড়ছে, তখন খুব স্বাভাবিক যে , সব বিয়ের ধরন এক হবে না। আপনি কি জানেন ঠিক কত রকমের বিয়ে হয় ?

১. সহচর্য ( Companionship ) : এই ধরনের বিবাহের যাত্রা শুরু হয় দুই পক্ষের বন্ধুত্বের মধ্য দিয়ে, যার সাথে পরবর্তী সময় আবেগের সম্মিলন ঘটে।

২. পরিত্রাণ ( Rescue ) : এক্ষেত্রে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ দুই জনের মধ্যে কোনো একজন পূর্বে কোনো বড়ো মানসিক আঘাত পাওয়াতে ট্রমার স্বীকার হয়ে থাকে। যে পরবর্তী সময় এই বিবাহ থেকে সেই আঘাত ভোলার ও নিষ্কৃতির পথ খোঁজে। সেক্ষেত্রে অপর জন তার ভরসার স্তম্ভ হয়ে ওঠে।

৩. কর্মক্ষম ( Operational ) : এই ধরনের বিবাহে দুই সঙ্গীর মধ্যে বহু তর্ক-বিতর্ক ও বিবাদ হয়ে থাকে। তবে শেষমেষ দুই জনের আবেগপূর্ণ অন্তরঙ্গতা বা অনেক সময় কথোপকথনের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান ঘটে।

৪. রোমান্টিক ( Romantic ) : এই ধরনের দাম্পত্য জীবনে দুই সঙ্গীর একে অপরের প্রতি আবেগপূর্ণ মনোভাব ও অগাধ ভালোবাসা থাকে। এই ধরনটিকে সব থেকে সুখকর দাম্পত্য বলে মনে করা হয়।

৫. প্রথাগত ( Traditional ) : এই ধরনের বিবাহে মূলত অভিভাবকদের পছন্দ অনুযায়ী দুই সঙ্গী একে অপরের সঙ্গে প্রথগত নিয়মে একে অপরের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।

৬. অন্বেষণ ( Persue ) : এই ধরনের বিবাহে একজন সঙ্গীর প্রেমের অনুভূতি কম হওয়ায় অপরজন সর্বদা তার থেকে ভালোবাসা ও অন্তরঙ্গতা খুঁজতে থাকে।

৭. সমন্বিত ( Cohesive ) : এই ধরনের বিবাহিত সম্পর্কে দুই জনই একে অপরকে সমান স্বাধীনতা দেওয়ার পাশাপাশি একে ওপরের প্রতি সমান সন্মান ও ভালোবাসা পোষণ করে থাকে।

৮. কম ঘনিষ্ঠতা ( Low intimacy ) : এই ধরনের দাম্পত্য জীবনে দুই সঙ্গীই একে অপরকে অনেকটা বিশ্বাস করে। ফলে এরা একে অপরকে বিয়ের পরও নিজেদের স্বতন্ত্র জীবনযাপন চালিয়ে যেতে দেয়। ফলে দুই সঙ্গীর মধ্যেকার ঘনিষ্ঠতা কম হয়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *