আজ খবর ডেস্ক- দীর্ঘ অপেক্ষার পর গড়ালো লোকাল ট্রেনের চাকা। এতদিন জরুরী পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের জন্য চলছিল লোকাল ট্রেন। তবে এখন থেকে সেই ট্রেনে উঠতে পারবেন সাধারণ মানুষ। নবান্নর তরফে জারি করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তি। যার মধ্যে লোকাল ট্রেন চালানোর বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, খুলে যাচ্ছে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়। অনেকে মনে করছেন এই কারণেই লোকাল ট্রেনে ছাড় দেওয়া হল রাজ্যের তরফ থেকে।
প্রথম দিনই বিভিন্ন স্টেশনে দেখা গেল ভয়ঙ্কর ছবি। থিকথিকে ভিড়, দূরত্ব বিধি শিকেয়। অনেকের মুখে মাস্ক পর্যন্ত নেই। সোমবার থেকে অফিস টাইমে ট্রেনগুলিতে আরও বাড়বে ভিড়। অনেকেই আশঙ্কা করছে, মানুষ নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনছে। তৃতীয় ঢেউ অবশ্যম্ভাবী, ফের একবার লকডাউন হতে পারে।
রাজ্যের তরফ থেকে এবং রেলের তরফ থেকে অনুরোধ করা হয়, অত্যন্ত প্রয়োজন ছাড়া মানুষ যেন লোকাল ট্রেনে সওয়ার না হন। রাজ্যের তরফ থেকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল, যাতে সর্বাধিক পঞ্চাশ শতাংশ যাত্রী নিয়ে ট্রেন চলে। কিন্তু খাতায় কলমে সেই নিয়ম রয়ে গেল, বাস্তবে চিত্রটা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
এক যাত্রী বলেন, লোকাল ট্রেনের অবস্থা দেখে রীতিমত ভয় লাগছে। কেউ কোনও নিয়ম মানছে না। অনেক যাত্রীর অবশ্য দাবি, ট্রেন চলাতে ভালই হয়েছে, কারণ অন্যান্য উপায়ে কর্মস্থলে পৌঁছনো যথেষ্ট ব্যয়বহুল হয়ে উঠছিল। সে ক্ষেত্রে দেখতে গেলে ট্রেন চলাতে তাঁরা খুশি।
আজ রবিবার, এমনিতেই অফিস কাছারি অনেকাংশেই বন্ধ। যদি ছুটির দিনে এমন চিত্র দেখা যায় তাহলে সপ্তাহের অন্যান্য দিনে কি ঘটবে সেই নিয়ে চিন্তায় চিকিৎসক মহল। কিছু বেপরোয়া যাত্রীর জন্য ভয় পাচ্ছেন অন্যান্যরা। তাঁদের দাবি, এতকিছুর পরেও যদি মানুষ নিজে না শেখেন তাহলে বাকিদের জন্য তা আতঙ্কের।