আজ খবর ডেস্ক:
Amazon Layoffs গত বছর সেপ্টেম্বর শেষের হিসাব অনুযায়ী, আমাজনে (Amazon) প্রায় ১৫ লক্ষ কর্মী চাকরি করেন। তথ্য বলছে, গত কয়েক বছরে প্রচুর নিয়োগ করা হয়েছিল এই সংস্থায়।
প্রসঙ্গত ২০২০ সালের শুরু থেকে ২০২২ সালের শুরুর মধ্যে সারা বিশ্বে কর্মী সংখ্যা দ্বিগুণ করে বিভিন্ন জিনিষ ডেলিভারির চাহিদা মেটানো হয়েছিল। কিন্তু অনিশ্চিত অর্থনীতির কারণে নতুন বছরে কর্মী ছাঁটাইয়ের এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থা।
সিইও বলেছেন, অতীতেও আমাজন অনিশ্চিত ও কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে। তারপরেও সংস্থা চালিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গত সেপ্টেম্বরের শেষে আমাজনে কর্মী সংখ্যা ছিল প্রায় ১.৫৪ মিলিয়ন। অর্থাৎ, এই ছাঁটাইয়ে সংস্থার প্রায় ১% কর্মীকে বাদ দেওয়া হচ্ছে। Amazon Layoffs
প্রযুক্তি ক্ষেত্রে চাহিদা আগের তুলনায় কম। সেই সঙ্গে বিশ্বজুড়ে একটি মন্দার আবহ রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে কর্মী কমিয়ে খরচ বাঁচাতে চাইছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। গত বছরের শেষ পর্বে Flipkart , Twitter সহ বিভিন্ন সংস্থাগুলি কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হেঁটেছে।
সম্প্রতি প্রায় ১৮ হাজার কর্মীকে বরখাস্তের চিঠি ধরালো Amazon। পূর্ব পরিকল্পনার তুলনায় আরও বেশি কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হেঁটেছে সংস্থা।
আমাজনের সিইও অ্যান্ডি জ্যাসি কর্মীদের উদ্দেশে বলেছেন, নভেম্বরের কর্মী ছাঁটাইয়ের পরে ফের ১৮ হাজারের বেশি কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা করছেন। প্রসঙ্গত গত নভেম্বরে আমাজন ১০ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের কথা জানিয়েছিল।
সিইও অ্যান্ডি জ্যাসি বলেছেন, যাঁদেরকে ছাঁটাই করা হচ্ছে, সেইসব মানুষগুলির পক্ষে মেনে নেওয়া কঠিন। তারা এই সিদ্ধান্তকে হাল্কা ভাবে নিচ্ছেন না বলেও জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এর ফলে যাঁরা প্রভাবিত হয়েছেন, তাঁদের সমর্থনের জন্য কাজ করা হচ্ছে। তাঁদেরকে প্যাকেজের মাধ্যমে অর্থপ্রদান, ট্রানজিশনাল হেলথ ইনসিওরেন্সের (THI) সুবিধা ছাড়াও বাইরে কোনও জায়গায় চাকরিতে অন্তর্ভুক্তির সুবিধাও দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, কিছু ছাঁটাই (Layoff) ইউরোপেও (Europe) হবে। ১৮ জানুয়ারি থেকে কর্মীদের বিষয়টি জানানো হবে। এক মেমোতে কর্মীদের সংস্থার পরিকল্পনার বিষয়ে জানান। গত বছর থেকেই এই ছাঁটাই পর্ব শুরু করেছে সংস্থা। এর আগে মনে করা হচ্ছিল যে এর ফলে প্রায় ১০ হাজার চাকরি যেতে পারে। কিন্তু পরে দেখা যাচ্ছে আরও বেশি কর্মী ছাঁটাই করা হবে।
মূলত সংস্থার কর্পোরেট (Corporate) স্তরে, রিটেল (Retail) এবং হিউম্যান রিসোর্সের (HR) মত বিভাগ থেকে কর্মী কমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। সংস্থার বক্তব্য, এই পরিবর্তনগুলির মাধ্যমে দীর্ঘ মেয়াদে সংস্থার জন্য আরও সুপরিকল্পিত ব্যয় নীতির পথ খুলে যাবে।
শেয়ার বিনিয়োগকারীরা যদিও আমাজনের এই নীতিতে খুশি। কারণ কর্মী হ্রাস মানেই ব্যয় কমবে। আর্থিক রিপোর্ট কিছুটা হলেও ভাল হবে। এই ভাবনা থেকেই ফের আমাজনের শেয়ারের বিক্রি বাড়তে পারে। এমনকী, জানা গিয়েছে এই ঘোষণার পর সংস্থার শেয়ার প্রায় ২% বেড়েছে ওয়াল স্ট্রিটে।