আজ খবর ডেস্ক:

আপডেট: Nepal Plane Crash নেপালে পোখরা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু ৭২ জনেরই, ঘোষণা নেপাল সরকারের। নিহতদের মধ্যে ৭ জন ভারতীয় রয়েছেন। অবতরণের ১০ সেকেন্ড আগে বিমানটি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ভেঙে পড়ে রানওয়ের পাশে। ইয়েতি এয়ারলাইন্সের মুখপাত্র সুদর্শন বারতৌলা জানান, “বিমানটি কাঠমাণ্ডু থেকে পোখরা আসছিল। সেইসময় রানওয়ের একধারে হঠাৎ ভেঙে পড়ে বিমানটি।”
নেপালে (Nepal) ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা ! জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে পোখরা আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণের সময় ভেঙে পড়ে বিমানটি। বিমানে ৬৮ জন যাত্রী ও ৪ জন বিমান কর্মী সহ মোট ৭২জন ছিলেন। বিমানবন্দরের রানওয়েতে ইতিউতি ছড়িয়ে রয়েছে পোড়া দেহের অংশ।


পোখরা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (Pokhara International Airport) দুর্ঘটনার মুখে পড়ল উড়ান। রবিবার অবতরণের সময় Yeti Airlines-র 9N ANC ATR72 বিমানটি ভেঙে পড়ে। বিমানটি রাজধানী কাঠমান্ডু (Kathmandu) থেকে পোখরা আসছিল।

৭২ আসনের ওই উড়ানে মোট ৬৮ জন যাত্রী ছিলেন। এছাড়াও ছিলেন আরও চারজন ক্রু সদস্য। দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের ককপিটে ছিলেন ক্যাপ্টেন কমল কেসি। Yeti Airlines-র মুখপাত্র Sudarshan Bartaula জানিয়েছেন, রানওয়েতে ভেঙে পড়ার পর বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। সঙ্গে সঙ্গে দুর্ঘটনাগ্রস্ত উড়ানের কাছে ছুটে যায় বিমানবন্দরের দমকল বাহিনী।

প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই পোখরা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্বোধন হয়েছে। গত ৩০ বছরে অন্তত ৩০টি বিমান দুর্ঘটনার সাক্ষী থেকেছে হিমালয়ের কোলে অবস্থিত নেপাল। কী কারণে রবিবার দুর্ঘটনা হয়েছে, তা নিয়ে শুরু হয়েছে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত।


গত বছর ও নেপালের পোখরায় দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল একটি বিমান। পোখরা থেকে বিমানটি জমসনে যাচ্ছিল। টেক অফের ১৫ মিনিটের মাথাতেই ভেঙে পড়ে উড়ান। পরে মুসতাং (Mushtang) এলাকায় খাদের মধ্যে থেকে বিমানের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করে নেপালের সেনা। ওই এলাকায় তুষারপাত শুরু হওয়ায় উদ্ধার কাজ থমকে গিয়েছিল। পরে বিমানে থাকা ২২ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। খাদের ধারে মেলে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের (Nepal Plane Crash) ব্ল্যাক বক্স (Black Box)। যদিও সেই ব্ল্যাক বক্স থেকে কোন ও তথ্য মেলেনি বলে পরে জানা গিয়েছিল। Nepal Plane Crash

এর আগে ২০১৬ সালে ঠিক একইভাবে, একই জায়গায় ভেঙে পড়েছিল নেপালের (Nepal Aircraft) একটি বিমান। সেই উড়ানটিও ছিল তারা এয়ারওয়েসের (Tara Airways)। বিমানে ছিলেন ২৩ জন যাত্রী। সেই বিমানটিও পোখরা থেকে জমসন (Pokhara To Jomson) যাচ্ছিল। টেক অফের কিছুক্ষণের মধ্যেই সেটিও ঠিক একইভাবে নিখোঁজ হয়ে যায়। তারপর সেটি মুসতাং জেলাতেই ভেঙে পড়ার খবর মেলে। মৃত্যু হয়েছিল সমস্ত যাত্রীরই। প্রশ্ন উঠেছে, বারবার কেন পোখরাতেই ঘটছে দুর্ঘটনা?

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *