আজ খবর ডেস্ক:
Health News রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের নতুন নতুন সুপার স্পেশালিটি (Super Speciality Hospital) সরকারি হাসপাতাল। ঝাঁ চকচকে গেট। কিন্তু অন্দরে কোথাও চিকিৎসক নেই, কোথাও আবার একটা অপারেশন (Surgery) বা এক্সরে’র জন্য লম্বা প্রতীক্ষা। অথবা রোগীর বেডের নিচে ঘুরছে বেড়াল-কুকুর।
বেহাল স্বাস্থ্য পরিষেবায় বদল আনতে এবার উদ্যোগী স্বাস্থ্য ভবন (Swasthya Bhaban)। জেলার বাসিন্দাদের আরও ভাল চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার জন্য শহরের চিকিৎসকদের গ্রামে যাওয়ার পরামর্শ আগেই দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। Health News
এসএসকেএমের (SSKM) চিকিৎসকদের গ্রামে গ্রামে যাওয়ার কথা বলেছিলেন মমতা। সেই নির্দেশ মেনেই এবার শুরু হল ‘দুয়ারে পিজি’ (Duare PG) কর্মসূচি। মঙ্গলবারই এসএসকেএমে (SSKM) পৌঁছল বাস, যাতে চেপে জেলায় যাবেন চিকিৎসকেরা। পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ি (Keshiary) দু নম্বর ব্লকে শিবির করবেন এসএসকেএমের ৩৪ জন চিকিৎসক। বুধবার ও বৃহস্পতিবার দু দিনের শিবির হবে সেখানে।
সেই সঙ্গে এবার আরেক নজর কাড়া উদ্যোগ রাজ্য সরকারের।
সরকারি হাসপাতালের নোংরা, অপরিচ্ছন্ন ঘর আর নয়। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ (Calcutta Medical College) হাসপাতালে এবার মিলবে প্রাইভেট কেবিন (Private Cabin)। ঝকঝকে ওয়ার্ড টেক্কা দেবে ফাইভ স্টার হোটেলকে।
রাজ্যে প্রথম পিজি হাপাতালের উডবান ওয়ার্ডে প্রাইভেট কেবিন তৈরি হয়। এবার তেমনই কেবিন তৈরি হতে চলেছে মেডিক্যাল কলেজেও। হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডাঃ ইন্দ্রনীল বিশ্বাস জানিয়েছেন, ১ লা মার্চ থেকে হাসপাতালের ১০ তলায় প্রাইভেট কেবিনগুলো চালু হবে। এর কিছুদিন পরে ৯ তলাতেও একইরকম প্রাইভেট কেবিন খোলা হবে। সূত্রের খবর সরকারি পরিকল্পনা, ভিআইপি কেবিন খোলা হলে সেখান থেকে যা আয় হবে তা রোগীদের চিকিৎসার কাজে ব্যবহৃত হবে।
মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার স্পেশালিটি বিল্ডিংয়ের ৯ ও ১০ তলায় চালু হবে এমন কেবিন। জানলা দিয়ে দেখা যাবে হাওড়া ব্রিজ, দ্বিতীয় হুগলি সেতু, অন্য দিকের কেবিন থেকে উত্তর এবং পূর্ব কলকাতার বিস্তীর্ণ অঞ্চল। হাসপাতালে থাকার একঘেয়েমি কাটবে।
এই কেবিনগুলো হবে একদম বেসরকারি হাসপাতালের মত। রোগীর ভিড়, ওষুধের কটূ গন্ধ পাবেন না রোগীরা। বাতানুকূল প্রাইভেট কেবিন কমপ্লেক্সের প্রত্যেকটি ঘরে থাকবে টিভি, সোফা, আলমারি। ঘরের সঙ্গে থাকবে বারান্দা, সুসজ্জিত কিচেন, আধুনিক টয়লেট। রান্নাঘরে মাইক্রোওয়েভ, ফ্রিজ।
বেসরকারি নার্সিংহোম, হাসপাতালের তুলনায় কিন্তু অনেকটা কম হবে খরচ। ডাক্তার, নার্সের জন্য আলাদা ফি গুনতে হবে না। ওষুধও রোগীর পরিজন ফেয়ার প্রাইস শপ (Fair Price Shop) থেকেই কিনতে পারবেন।
ডাবল অকুপেন্সি কেবিনে রোগী পিছু বেড ভাড়া পড়বে দু’ হাজার টাকা। সিঙ্গল কেবিনে আড়াই হাজার। ২৬টি এমন কেবিন খোলা হবে বলে জানা গেছে। সেখানে ডাক্তার, ডাক্তারি পড়ুয়া, কর্মীদের জন্য কয়েকটি বেড সংরক্ষিত থাকবে। একটি রিজার্ভ থাকবে ভিআইপিদের জন্য।