আজ খবর ডেস্ক : কিছুদিন আগেই দুর্গাপূজো শেষ হয়েছে। যেখানে মাতৃ আরাধনায় মেতে উঠেছিল গোটা রাজ্য। সামনে আরও এক মায়ের পুজো। কিন্তু যে নিষ্ঠার সঙ্গে আমরা মাতৃমূর্তির আরাধনা করছি, ততটা কি শ্রদ্ধাশীল বাস্তবের মা-দের নিয়ে? মনে হতেই পারে কেন এমনটা বলা হচ্ছে? তেমনই এক দুঃখজনক ঘটনা চোখে পড়ল আড়িয়াদহ ৪৩ নম্বর বাস স্ট্যান্ডের কাছে।
বেশ কিছু সময় ধরে এলাকার একটি বন্ধ দোকানের সামনে ছেঁড়া কাপড়ে শুয়ে ছিলেন এক মহিলা। নাম গৌরী কর্মকার। বয়স ৭০ এর কাছাকাছি। ছেলেমেয়েরা বাড়িতে যত্ন না নেওয়ায়, বাধ্য হয়ে রাস্তায় দিন কাটাচ্ছেন এই বৃদ্ধা। শশাঙ্ক ভাবসার এলাকায় পরিচিত “রেড ভলান্টিয়ার”। ফেসবুক লাইভ করে সবার নজরে আনলেন এই মর্মান্তিক ঘটনা।
রাস্তায় শুয়ে থাকা ওই বৃদ্ধার সঙ্গে কথা বলেন। জানতে পারেন, ওই এলাকাতেই বাড়ি ওনার। বাড়িতে দুই ছেলে ও বৌমা রয়েছেন। তবে বাড়িতে কেউ তাঁকে খেতে দিত না। এমনকি চাইলে পেতেন না খাওয়ার জলটুকুও। তাই বাধ্য হয়েই বেরিয়ে পড়েছেন বাড়ি থেকে। বৃদ্ধার সঙ্গে কথা বলে আরও জানা যায়, বয়স জনিত কারণে ঠিকমত চলাফেরা করতে পারেন না। তাই তাঁকে বাথরুমে পর্যন্ত ধরে নিয়ে যেত না কেউ। এভাবেই পরে শরীরে ঘা হয়ে যায় তাঁর। কিন্তু চিকিৎসার উপযুক্ত ওষুধ টুকুও ছেলে বৌমার থেকে পাননি তিনি।
ভিডিওটির প্রকাশক শশাঙ্ক ভাবসার জানান, তিনি ইতিমধ্যেই সেখানকার আঞ্চলিক ক্লাব ও উদ্ধারকারী দলের সঙ্গে কথা বলেছেন। যাতে যত শীঘ্র সম্ভব ওই বৃদ্ধার জন্য একটি নিরাপদ আশ্রয় খুঁজে দেওয়া যায়।তবে এমন ঘটনা প্রথম নয়। কথায় আছে ‘ ১০ মাস ১০ দিন পেটে ধরে , প্রচন্ড কষ্ট সহ্য করে সন্তানকে পৃথিবীর আলো দেখায় মা’। কিন্তু বাস্তবে রাস্তায় সেই মাকেই যখন এভাবে পড়ে থাকতে হয়, তা যেন আমাদের বিবেকহীনতাই তুলে ধরে সমাজের আয়নায়।