আজ খবর ডেস্ক:
Honey এই মরসুমে সর্দি কাশি (Cough and Cold) লেগেই থাকে। আর তখন ম্যাজিকের মত কাজ করে মধু (Honey)। কিন্তু জানেন কি, দিনের পর দিন, বছরের পর বছর পেরিয়ে গেলেও মধু পচে না। নষ্টও হয় না। টাটকা থাকে। Honey
বেশ কয়েক বছর আগে কেনা মধুও চাইলে যখন খুশি নিশ্চিন্তে খেতে পারেন। তার গুণগত মান কখনও খারাপ হয় না। অথচ মাছ-মাংস (Fish and Meat) থেকে শাকসবজি (Vegetables), সব খাবার জিনিসেরই পচন হয়। প্যাকেট জাত খাবারও একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর (Expiry Date) ফেলে দিতেই হয়। সাধারণত পৃথিবীতে যত রকমের খাবার পাওয়া যায়, সেগুলো ব্যবহারের একটা নির্দিষ্ট সময়সীমা থাকে। সময় পেরিয়ে যাওয়া খাবার খেলে শরীরে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।
এখানেই ব্যতিক্রম মধু।
কিন্তু মধু কখনও নষ্ট হয় না। কেন জানেন?
আসলে মধুতে অতিরিক্ত মাত্রায় সুগার বা চিনির উপাদান থাকে। এরমধ্যে জলের পরিমাণ খুবই কম থাকে। সেই কারণে মধুকে বলা হয় হাইগ্রোস্কোকিপ। খাঁটি মধু কখনও শুকিয়ে যায় না ঠিক এই কারণে।
মধু যদি বাইরের কোনও জীবাণুর (Bacteria) সংস্পর্শেও আসে তাতেও এটি সংক্রমণ ছড়াতে পারে না।
মধু খেতে মিষ্টি হলেও এটি আসলে অ্যাসিডিক প্রকৃতির। এরমধ্যে অতিরিক্ত মাত্রায় গ্লুকোনিক অ্যাসিড থাকে। এই গ্লুকোনিক অ্যাসিড (Gluconic Acid) ব্যাকটেরিয়ার বাড়বাড়ন্ত প্রতিহত করে। যখন মৌমাছির (Bee) নেকটার বা ফুলের রসের সঙ্গে মিশিয়ে মকরন্দ তৈরি করে তখন তার সঙ্গে গ্লুকোনিক অ্যাসিড ক্ষরিত হয়।
এই নেক্টারের মধ্যে গ্লুকোজ অক্সাইড নামে বিশেষ ধরণের এনজাইমের ক্ষরণ হয় যা কেবল মৌমাছিই করতে পারে। মধুর মধ্যে হাইড্রোজেন পার অক্সাইড তৈরি হয়। এই হাইড্রোজেন পার অক্সাইড অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল হিসেবে কাজ করে। যদিও বাজার চলতি মধুর শিশির গায়ে বেস্ট বিফোর তারিখের উল্লেখ করা থাকে। কারণ, বাজারজাত প্রায় প্রত্যেকটি জিনিসের গায়ে বেস্ট বিফোর তারিখের উল্লেখ বাধ্যতামূলক করেছে জাতীয় খাদ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা।