আজ খবর ডেস্ক : পুজোর আগে লাগাতার যে বৃষ্টি রাজ্যবাসী দেখেছে, তার জেরে এতদিন পরও একাধিক জায়গায় এখনও জল জমে রয়েছে। স্বাভাবিকভাবে সেসব জায়গায় মশার উপদ্রব বাড়ছে , আর সেই সঙ্গে তাল মিলিয়ে ডেঙ্গু ম্যালেরিয়া রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিচ্ছে। আমরা বেশির ভাগ মানুষই মশা তাড়াতে ধূপ , কয়েল কিংবা বিশেষ ধরনের তেল ব্যাবহার করে থাকি। এইসব জিনিসে মশা মরলেও, শরীরের পক্ষে এ ধরনের জিনিস প্রচন্ড ক্ষতিকারক। তাই এ সমস্ত কৃত্রিম উপায়ে বাদ দিয়ে কি ভাবে ঘরোয়া পন্থায় মশার উপদ্রব কমানো যায়, আসুন জেনে নেওয়া যাক।

১) সাধারণত সূর্যাস্তের পরে মশার উৎপাত বারে। তাই মশার উপদ্রব ঠেকাতে সূর্যাস্তের আগেই ঘরের দরজা, জানলা বন্ধ করে দিন।

২) খেয়াল রাখতে হবে বাড়ির সামনে যেন ময়লা বা জল জমে না থাকে। এমনকি বাড়ির সামনের ড্রেনও ঢাকা থাকলে ভালো। কারণ ময়লার স্তূপ হল মশাদের আসল আখড়া।

৩) ঘুমোনোর সময় ঘরের এক কোণে প্রদীপে কর্পূর বা নিমতেল জ্বালিয়ে রাখতে পারেন। মশা তাড়াতে ওষুধের মতো কাজ করে এই উপায়টি।

৪) শুধু কর্পূর দিয়েও মশা তাড়ানো সম্ভব। সেক্ষেত্রে ঘরে কর্পূর জ্বেলে ১০ মিনিট ঘরের দরজা জানলা বন্ধ করে রাখলে, ঘরে আর একটাও মশা থাকবে না।

৫) মশা দূরে রাখতে এখন বাজার চলতি বহু স্কিম ক্রিম বেরিয়েছে। প্রয়োজনে সেগুলো ব্যাবহার করতে পারেন। আর না হলে ঘরোয়া পদ্ধতিতেও বানিয়ে ফেলা যায় এমন ক্রীম। এর জন্য নারকেল তেল, নিম তেল, লবঙ্গের তেল, পিপারমেন্ট তেল ও ইউক্যলিপটাসের তেল সমপরিমাণে মিশিয়ে বোতলে রাখতে হবে। এরপর রাতে শোওয়ার আগে ত্বকে মিশ্রণটি লাগিয়ে রাখলে মশা আপনার থেকে দশ হাত দূরে থাকবে।

৬) আপনি কি জানেন ! যেকোনও টকজাতীয় জিনিসের গন্ধ মশারা সহ্য করতে পারেনা। আর সেই জন্যই যেখানে মশার উপদ্রব বেশি, সেখানে একটি লেবু দু’ভাগে কেটে মাঝে একটি লবঙ্গ দিয়ে যদি রেখে দেওয়া যায়, তবে মশা কাছে আর আসবে না।

৭) এছাড়া কর্পূর ও নিমতেল মিশিয়ে, সেটি তেজপাতায় স্প্রে করে, তারপর আগুনে পোড়ালেও সেই গন্ধে মশা পালায়। এই করোনাকালে যেভাবে ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়ার মতো মশাবাহিত রোগগুলি দিন দিন প্রকোপ বাড়াচ্ছে, তাতে উপরোক্ত ঘরোয়া পদ্ধতিগুলি মেনে চললে এই ধরনের রোগ থেকে রেহাই পাবেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *