আজ খবর ডেস্ক:
Tripura Election 2023 ৬০ আসনে লড়লেন ২৫৯ প্রার্থী। ত্রিপুরায় কি ২০১৮-র পুনরাবৃত্তি হবে ২০২৩-এ? নির্বাচন কমিশনের তথ্য বলছে, বিকেল ৪টে পর্যন্ত ত্রিপুরায় (Tripura Assembly Election) ভোট দানের হার প্রায় ৮১ শতাংশ৷ সরকারি ভাবে বিকেল ৪টেয় ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও বহু ভোটকেন্দ্রের বাইরে ভোটারদের লাইন চোখে পড়েছে সন্ধের পরেও। Tripura Election 2023
শাসক-বিরোধী সংঘর্ষ, ভোটারদের ভয় দেখানোর অভিযোগ, বিক্ষিপ্ত অশান্তি চলেছে দিনভর। বিজেপির (BJP) আশা, আগের থেকেও বেশি আসনে জিতবে তারা। আশাবাদী কংগ্রেস (Congress) এবং সিপিএমও (CPIM)।
পশ্চিমবঙ্গের পর ত্রিপুরাতেও ৬০ আসনে জোট গড়ে লড়েছে দুই দল। প্রথম বার লড়াই করে নিজেদের ছাপ রাখার বিষয়ে এক প্রকার নিশ্চিত প্রদ্যোৎমাণিক্য দেববর্মার তিপ্রা মথা।
এই প্রথম বার ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচনে লড়ছে তৃণমূল (AITC)। তারা স্পষ্টই জানিয়েছে, হারজিৎ নিয়ে ভাবছে না। ফল যা-ই হোক, ভোটের পরেও মাটি কামড়ে পড়ে থাকবেন দলীয় নেতৃত্ব।
পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৮ সালে ত্রিপুরায় ভোটদানের হার ছিল ৯১ শতাংশের বেশি৷ এদিন সকাল থেকেই ত্রিপুরার বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্ত অশান্তি ছড়িয়েছে। বিজেপির দিকে বার বার আঙুল তুলেছে কংগ্রেস এবং সিপিএম। তাদের কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে। টুইটারে নির্বাচন কমিশনকে ট্যাগ করে অভিযোগ করেছে, ভোটারদের ভোট দিতে যেতে দিচ্ছে না বিজেপি। বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন তিপ্রা মথা প্রধান প্রদ্যোৎও।
অন্য দিকে, আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি ভাঙার কারণে ত্রিপুরার বিজেপি এবং কংগ্রেসকে নোটিস পাঠিয়েছে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও কংগ্রেস এবং বিজেপির তরফে ভোট চাওয়ার আবেদন করে টুইটের অভিযোগ এনেছে নির্বাচন কমিশন।
ত্রিপুরায় বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে কর্মসংস্থান তৈরি করতে না পারা সহ একাধিক অভিযোগ ছিল৷ তার পরেও বিজেপি-কেই এগিয়ে রাখছিলেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ৷ তবে ত্রিপুরার আদিবাসী ভোট কোন দিকে যায়, তিপরামোথা কতখানি নির্ণায়ক শক্তি হয়ে উঠতে পারে, সেদিকেও নজর রয়েছে গোটা দেশের৷ একই সঙ্গে বাম কংগ্রেস জোটও বিজেপি-কে কতটা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পারে, জানা যাবে ২রা মার্চ।