আজ খবর ডেস্ক:
আপডেট: রাজ্যে অ্যাডেনো ভাইরাসের প্রথম বলি কলকাতায়। পার্কসার্কাসের হাসপাতালে মৃত আড়াই বছরের শিশু। চরম উদ্বেগে স্বাস্থ্য ভবন। সোমবার বিশেষজ্ঞদের নিয়ে জরুরি বৈঠক স্বাস্থ্য অধিকর্তার।

Adeno Virus কলকাতা (Kolkata) সহ রাজ্য জুড়ে অ্যাডেনো ভাইরাসের (Adeno Virus) সংক্রমণ নিয়ে উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য ভবন। পাহাড় থেকে সাগর, হাসপাতালে ভর্তি অন্তত ৩০০০ শিশু। শুকনো কাশি,শ্বাস কষ্ট সঙ্গে জ্বর। চিকিৎসকদের পরামর্শ, শিশুকে মাস্ক ছাড়া বাইরে না বের করার। উষ্ণ নরম অথবা তরল খাবার, লেবু ও আঙুরের রস জুস, সঙ্গে পানীয় জল আর চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে হবে। Adeno Virus
অ্যাডেনো ভাইরাস সাধারণত চোখ, কান,শ্বাসনালী, ফুসফুস, খাদ্যনালী এমনকী স্নায়ুতন্ত্রেও সংক্রমণ ছড়ায়। তাই চিকিৎসা করতে দেরি হলে, ফুসফুস এবং শ্বাসযন্ত্র ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। শুরু হতে পারে শ্বাসকষ্ট। আর চিকিৎসা না করালে হতে পারে মৃত্যুও।

উদ্বেগ বাড়াচ্ছে নাইসেড-এর রিপোর্ট। জানা গিয়েছে, গত দেড় মাসে ৫০০-র বেশি নমুনা পাঠিয়েছিল স্বাস্থ্য দপ্তর। এর মধ্যে ৩২ % অ্যাডেনো ভাইরাসে আক্রান্ত। ১২ %র শরীরে রাইনো ভাইরাস (Rhino Virus) পাওয়া গিয়েছে। ১৩ %র শরীরে প্যারা ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের (Para Influenza Virus) হদিশ মিলেছে।
কলকাতার সব শিশু হাসপাতালের আইসিইউ-তে ভর্তি অধিকাংশের বয়স ১-২ বছর। বি সি রায় শিশু হাসপাতালে Paediatric Intensive Care Unit এ বেড রয়েছে ২৫টি। সব কটিই বর্তমানে ভর্তি। ইন্সটিটিউট অব চাইল্ড হেলথে ICU-র ১৪টি বেডই ভর্তি। মুকুন্দপুর AMRI-তে ICU-র ১০টি বেডেই অসুস্থ শিশুদের চিকিৎসা চলছে।

শনিবার স্বাস্থ্য ভবনে জরুরি বৈঠকে স্বাস্থ্য সচিব ছাড়াও ছিলেন কলকাতার সব মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষরা। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, জেলার হাসপাতাল থেকে কলকাতার হাসপাতালে রেফার কমাতে হবে। অ্যাডেনো ভাইরাস সংক্রান্ত প্রোটোকল মেনে করতে হবে চিকিৎসা। সতর্ক থাকতে হবে পেডিয়াট্রিক চিকিৎসকদের। প্রয়োজন হলে নমুনা পাঠাতে হবে স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে।
শুধুমাত্র শিশুরাই নয়, অ্যাডেনো ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন বয়স্করাও। শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে ঢাকুরিয়া, মুকুন্দপুর ও সল্টলেক আমরি মিলিয়ে ১১৫ জন ভর্তি হয়েছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সর্দি-কাশি হলে চিকিৎসকদের পরামর্শ নিতে হবে। করোনা বিধির মতোই মাস্ক (Mask) ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার (Sanitizer) ব্যবহার করতে হবে।

‘পিঙ্ক আই’ বা লাল চোখ, অ্যাডেনোভাইরাস সংক্রমণের অন্যতম লক্ষণ।
বড়দের ক্ষেত্রে অ্যাডেনোভাইরাস সংক্রমণের ৩ থেকে ১০ দিন পরে পেটের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে অনেক আগেই দেখা দিতে পারে এই লক্ষণ। পেট খারাপের সঙ্গে থাকতে পারে পেট ব্যথা, বমি। এছাড়়া, সংক্রমণ সেরে যাওয়ার ১০-১৫ দিন পরেও থেকে যেতে পারে দুর্বলতা।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *