আজ খবর ডেস্ক:
Adenovirus Death আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়িয়েছে অ্যাডিনো ভাইরাস (Adenovirus)। ঘরে ঘরে প্রতিদিন বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। বুধবার মৃত্যু হল বছর তেরোর এক নাবালিকার।
কলকাতার পিয়ারলেস হাসপাতালে (Peerless Hospital) মৃত্যু হলেও রোগীর বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুরে।
জানা গিয়েছে, অষ্টম শ্রেণির শ্রেণির ছাত্রী ওই কিশোরী প্রবল জ্বর, সঙ্গে শ্বাসকষ্ট নিয়ে গত ১৩ই ফ্রেরুয়ারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। কিশোরীটি আগের থেকেই স্পাইনাল মাস্কুলার অ্যাট্রফি (spinal muscular atrophy) রোগটি তে আক্রান্ত ছিল। অ্যাডিনো ভাইরাসের সংক্রমণ তো ছিলই, পরে আরও শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। এরপরেই উর্যাস্বাতী রায়চৌধুরী নামে ওই কিশোরীর মৃত্যু হয়। Adenovirus Death

অ্যাডিভাইরাস ছাড়াও নিউমোনিয়ার (Pneumonia) সমস্যাও ছিল। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে ভেন্টিলেশনে (Ventilation) রাখা হয়। সংগীতে বিশেষ কৃতিত্বের জন্য গত ২০১৯ সালের ৪ঠা ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পেয়েছিল উর্যাস্বাতী রায়চৌধুরী। তাঁর হাতে তৎকালীন উপরাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নায়ডু এই পুরস্কার তুলে দিয়েছিলেন।
এদিকে প্রতিটি ওয়ার্ডের মেডিক্যাল অফিসার, নার্স, ফার্মাসিস্ট ছাড়াও আমজনতার জন্য বিশেষ নির্দেশিকা জারি করল কলকাতা পুরসভা (KMC)।

নাগরিকদের অনুরোধ জানানো হয়েছে নিজের চিকিৎসা নিজেরা না করে চিকিৎসকদের পরামর্শ নিতে। করব, পুরসভার সূত্রে বলা হচ্ছে, অধিকাংশ মানুষ পরে যখন চিকিৎসকদের কাছে আসছেন তখন পরিস্থিতি জটিল হয়ে যাচ্ছে।
কলকাতায় বসবাসকারী অভিভাবকদের জন্য নয়া নির্দেশিকা জারি করল পুরসভা। ঘরে ঘরে এখন জ্বর, সর্দি, কাশি। কলকাতা পুরসভার নির্দেশিকা, “শিশুর তুমুল জ্বর, কাশিতে নিজেরা ইচ্ছেমতে চিকিৎসা করবেন না। পরামর্শ নিন রেজিস্টার্ড মেডিক্যাল প্র্যাকটিশনারের।”

কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র তথা স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ জানিয়েছেন, ৭০০ আশাকর্মী রয়েছেন কলকাতা পুরসভার ১৪৪টি ওয়ার্ডে। এছাড়াও রয়েছেন ১০০ দিনের স্বাস্থ্য কর্মীরা। বুধবার থেকে তাঁরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে শিশুদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবেন।


গত তিন মাসে রাজ্যে মারণ অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ১১টি শিশু। সরকারি হাসপাতালের আইসিইউ-তেও বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। কলকাতা পুরসভার নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, জ্বর হলে শিশুর চিকিৎসা বাড়িতে হবে না হাসপাতালে তা ঠিক করবেন ওয়ার্ডের মেডিক্যাল অফিসাররা। চিকিৎসকরা বলছেন, সঠিক সময় চিকিৎসা শুরু না হলে ভাইরাল নিউমোনিয়া হচ্ছে শিশুদের।

নয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কোনও শিশু জ্বর, কাশি নিয়ে পুরসভার স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এলে অভিভাবককে জিজ্ঞেস করতে হবে, কতদিন ধরে জ্বর আসছে। অপ্রয়োজনে গুচ্ছ গুচ্ছ অ্যান্টিবায়োটিক (Antibiotics) নয়। মেডিক্যাল অফিসারের নির্দেশে ওষুধ দিতে হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *