আজ খবর ডেস্ক:
Adenovirus মাধ্যমিক চলছে। এর পরেই উচ্চ মাধ্যমিক। এদিকে অ্যাডেনো ভাইরাস (Adenovirus) প্রশাসনের কপালে চিন্তার ভাঁজ বাড়াচ্ছে। এদিন নবান্নে (Nabanna) জরুরি বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। করোনার মতই যুদ্ধ কালীন তৎপরতায় সমস্ত সরকারী ও বেসরকারী হাসপাতালে বিশেষ ইউনিট খোলা এবং চিকিৎসার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিল স্বাস্থ্য দপ্তর। Adenovirus
আগামী ৭ দিন পর্যবেক্ষণের পর নির্দিষ্ট কিছু নিষেধাজ্ঞার কথা ভাবতে পারে রাজ্য। এদিন মুখ্যমন্ত্রী মঙ্গলবারই একটি গাইডলাইন জারি করার নির্দেশ দেন।
ইতিমধ্যেই রাজ্য জুড়ে মোট ২৫ টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। অ্যাডেনো ভাইরাস মোকাবিলায় দশ দফা নির্দেশিকা জারি করল স্বাস্থ্য দপ্তর।
১) মেডিক্যাল কলেজ থেকে ব্লক স্তর পর্যন্ত প্রতিটি হাসপাতালে পেডিয়াট্রিক অ্যাকিউট রেসপেরিটরি ক্লিনিক (PARI) চালু রাখতে হবে সপ্তাহে সাতদিন ২৪ ঘণ্টা।
২) বর্হিবিভাগে ভিড় কমাতে প্রতিটা মেডিক্যাল কলেজে ২৪ ঘণ্টা পৃথক পেডিয়াট্রিক অ্যাকিউট রেসপেরিটরি ক্লিনিক চালু করা হবে। সেখানে থাকবেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।
৩) মেডিক্যাল সুপারিনটেন্ড্যান্ট অথবা অধ্যক্ষের অনুমতি ছাড়া কোনও অসুস্থ শিশুকে অন্যত্র রেফার করা যাবে না।
৪) জরুরি পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ভেন্টিলেশন-সহ আইসিইউ, সিসিইউ তৈরি রাখতে হবে।
৫) চিকিৎসা পেতে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তার জন্য সংশ্লিষ্ট পিজিটি চিকিৎসক এবং সিনিয়র রেসিডেন্ট চিকিৎসক দায়িত্বে থাকবেন।
৬) আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের দিয়ে সাধারণের মধ্যে অ্যাডেনো ভাইরাস নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি অভিযান চালাতে হবে।
৭) বিসি রায় শিশু হাসপাতাল, কলকতা মেডিক্যাল কলেজ, বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ, মালদহ মেডিক্যাল কলেজ-সহ মোট পাঁচটি হাসপাতালকে পেডিয়াট্রিক হাব হিসেবে কাজে লাগাতে হবে।
৮) চিকিৎসা ক্ষেত্রে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তার জন্য চিকিৎসক ও নার্সদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
৯) রাজ্যের প্রতিটি স্তরে হাসপাতালগুলি পরিষ্কা-পরিচ্ছন্ন রাখতে নিয়মিত স্যানিটাইজেশনের করতে হবে।
১০) চিকিৎসা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর ১৮০০-৩১৩৪৪৪-২২২ চালু করা হল।
বৈঠকে, হাসপাতালের বেডের পরিস্থিতি নিয়েও খোঁজ খবর নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। অনর্থক যাতে বেড ভর্তি না থাকে সে ব্যাপারেও নজর দিতে বলেছেন তিনি।
বৈঠকে স্কুলে কী ভাবে সংক্রমণ ছড়াতে পারে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। তবে স্কুল ছুটি দেওয়া নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি এখনই। এই মুহূর্তে স্কুলে সাবধানতা অবলম্বনের উপর জোর দেওয়া হবে। মাস্ক পরা ও স্যানিটাইজার ব্যবহারের পরামর্শ আগেই অভিভাবকদের দেওয়া হয়েছে।