আজ খবর ডেস্ক:
Santiniketan বৃহস্পতিবারে রাতে বৈতালিকের মাধ্যমে শুরু হয়েছে বসন্ত বন্দনা (Basanta Bandana)। শুক্রবার সকালে গৌড় প্রাঙ্গণের মঞ্চে ‘ওরে গৃহবাসী খোল দ্বার খোল’ গানের মাধ্যমে শুরু হল মূল অনুষ্ঠান। তবে এবার শুধুমাত্র পড়ুয়া, অধ্যাপক-অধ্যাপিকা ও কর্মীরাই সামিল হওয়ার অনুমতি পেয়েছেন। বোলপুর-শান্তিনিকেতনবাসী, পর্যটক, এমনকী প্রাক্তনীদের ও প্রবেশ নিষেধ। Santiniketan
প্রথা ভাঙা বিশ্বভারতীতে (Visva-Bharati University)
বসন্ত বন্দনাতেও অশান্তি! নির্দেশ অমান্য করে গৌড় প্রাঙ্গণে আবির খেলায় এক পড়ুয়াকে মারধরের অভিযোগ ওঠে। পড়ুয়াদের দাবি, উপাচার্যের নির্দেশে মারধর করা হয়েছে। ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় বিশ্বভারতী চত্বরে। অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই ছাত্র। ঘটনায় অন্য পড়ুয়ারা ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন উপাচার্যের বিরুদ্ধ।
বিশ্বভারতীর এই বসন্ত উৎসবের দীর্ঘ ঐতিহ্য রয়েছে। দেশি ও বিদেশী পর্যটকদের কাছেও অত্যন্ত জনপ্রিয়। করোনা (Corona) পরিস্থিতির কারণে গত কয়েকবছর বসন্ত উৎসবে খানিক ছেদ পড়েছিল।
এবছর বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী জানিয়ে দেন, উৎসবের নামে তাণ্ডব করা হয়। সেই কারণে এবছর ‘বসন্ত উৎসবের বদলে বন্দনা’ হবে।
বিশ্বভারতীর বসন্ত উৎসব ও পৌষ মেলা। করোনা আবহে গত কয়েকবছর ধরে বন্ধ বসন্ত উৎসব ও পৌষ মেলা।
ইতিমধ্যেই বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে রবীন্দ্র ঐতিহ্য ক্ষুন্ন করার অভিযোগ উঠেছে। ২ বছর ঘরোয়া ভাবেই এই উৎসব উদযাপন করা হয়েছিল। ফলে পর্যটকের এবারও বিশ্বভারতীতে আগের মতো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখার সুযোগ নেই।
একটি বিজ্ঞপ্তিতে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, ২রা মার্চ সন্ধেয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। ৩রা মার্চ সকালে বৈতালিক, এরপর ৭ টায় শোভাযাত্রা। দিনের দিন দোল উৎসব পালন না করে অকাল বসন্ত উৎসব।