আজ খবর ডেস্ক:
SSC Scam নিয়োগ কাণ্ডে ( SSC Scam) সরগরম রাজ্য। পঞ্চায়েত ভোটের আগে পাল্টা শাসকদলের অভিযোগের তীর ৩৪ বছরের বাম আমলের দিকে।
অভিযোগ, সেই সময় যাঁরা শিক্ষকতার চাকরি পেয়েছেন, সেখানেও ছিল দুর্নীতি আর স্বজন পোষণ। তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে সেই সিস্টেমের নাম দেওয়া হয়েছে
“চিরকুট সুপারিশ”।
একই সঙ্গে দিন কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) একটি মামলা দায়ের হয়। যার মূল দাবি, স্কুল সার্ভিস কমিশনের ১৭ নম্বর ধারা বাতিল করতে হবে।
উল্লেখ্য, এই ধারাতেই কোনও চাকরিপ্রার্থীর সুপারিশ বাতিলের ক্ষমতা দেওয়া আছে কমিশনকে। যদি কোনও চাকরিপ্রার্থীকে দেওয়া সুপারিশপত্রে কোনও ভুল থাকে তবেই কমিশন এই ধারা প্রয়োগ করতে পারে। শুক্রবার আদালত এই মামলার শুনানিতে, সরকার, কমিশন ও পর্ষদের কাছে জবাব চেয়েছে। আগামী ৩রা এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী শুনানি। এর মধ্যে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া শেষ করে নিজেদের বক্তব্য জানাতে হবে কোর্টে।
তবে ইতিমধ্যে যে খবর ঘিরে ফের বিতর্ক তৈরি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে, তা হল তৃণমূলের এই নতুন তালিকা। ১৯৯৭ সাল থেকে যত চাকরি হয়েছে, তার মধ্যে কত চাকরি তৎকালীন বাম নেতাদের সুপারিশের হয়েছে তা খুঁজে বের করছে শাসক দল। দলীয় স্তরে “চিরকুট সুপারিশ” এর তালিকা তৈরির দায়িত্ব যাঁদের দেওয়া হয়েছে, তাদের অন্যতম শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)।
বাম আমলের প্রাক্তন কাউন্সিলর, চেয়ারম্যান, লোকাল কমিটি বা জোনাল কমিটির ঘনিষ্ঠ থেকে পার্টির হোল টাইমারদের মধ্যে কতজনের বাড়ির লোকের স্কুলে চাকরি হয়েছে, তার তালিকাও তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দলের শিক্ষা সেল ও কাউন্সিলরদের।
প্রসঙ্গত নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের শুরুতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) অভিযোগ তুলেছিলেন, বাম আমলেও দুর্নীতি হয়েছিল কিন্তু পরবর্তী সময়ে একটি ফাইল ও খুঁজে পাওয়া যায়নি। এবার সেই তালিকা তৈরিতেই কোমর বেঁধে নামলো শাসক দল।