আজ খবর ডেস্ক:
Earthquake in North India প্রকৃতির প্রতিশোধ! ভয়াবহ ভূমিকম্পে (Earthquake) কেঁপে উঠল উত্তর ভারতের দিল্লি-এনসিআর (Delhi NCR) সহ কিছু অংশ। কম্পনের জেরে রীতিমত কেঁপে ওঠে বড় বড় বিল্ডিং। আতঙ্কে বাড়িঘর ছেড়ে রাস্তায় নেমে পড়েন স্থানীয় লোকজন।
জানা গিয়েছে, রাত ১০টা ২০ মিনিট নাগাদ এই কম্পন অনুভূত হয়। রয়টার্স সূত্রে খবর, একই সময়ে আফগানিস্তান (Afganistan), পাকিস্থান (Pakistan) সহ গোটা হিন্দুকুশ অঞ্চলে ভূমিকম্প হয়েছে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৬.৮।
প্রায় ২ মিনিট ধরে কেঁপেছে উত্তর ভারত। সঙ্গে একের পর এক আফটারশক। দিল্লি ছাড়াও কম্পন অনুভূত হয়েছে হিমাচলপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, কাশ্মীর, পঞ্জাব, রাজস্থান, হরিয়ানাতে। Earthquake in North India
ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির অন্যতম প্রধান জেএল গৌতম বলছেন, আফগানিস্তানের ফৈজাবাদের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে ভূমিকম্প হয়েছে। ভূপৃষ্ঠের ১৫৬ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্পে উৎসস্থল ছিল। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬.৫। তবে আশঙ্কা করা হচ্ছে কম্পনের মাত্রা ৬.৮ বা তার বেশিও হতে পারে। উৎসস্থল ভূপৃষ্ঠের ১৮৪ কিলোমিটার গভীরে ছিল বলে দাবি করা হয়েছে।
Earthquake of Magnitude:6.6, Occurred on 21-03-2023, 22:17:27 IST, Lat: 36.09 & Long: 71.35, Depth: 156 Km ,Location: 133km SSE of Fayzabad, Afghanistan for more information Download the BhooKamp App https://t.co/kFfVI7E1ux @ndmaindia @Indiametdept @moesgoi @PMOIndia pic.twitter.com/sJAUumYDiM
— National Center for Seismology (@NCS_Earthquake) March 21, 2023
ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞদের মতে, হিন্দুকুশ পার্বত্য এলাকা এমনিতেই ভূমিকম্প প্রবণ। সেখানে ইন্দো-অস্ট্রেলিয়ান প্লেটের সঙ্গে ইউরেশিয়ান প্লেটের সংঘর্ষেই ভূমিকম্প হয়েছে। অন্যদিকে হিমালয় অঞ্চলে ভূগর্ভস্থ ইন্ডিয়ান প্লেট এবং ইউরেশীয় প্লেটের মধ্যে ঘর্ষনের জেরেই এই এলাকাটি অতি মাত্রায় ভূমিকম্পপ্রবণ হয়ে উঠেছে। ইন্ডিয়ান প্লেটটি যখনই ইউরেশীয় প্লেটের নীচে ঢুকে যাচ্ছে, তখন মাটির নীচে বিশাল পরিমাণ শক্তি মুক্ত হচ্ছে।
সেই শক্তির পরিমাপের ওপরে নির্ভর করছে ভূমিকম্পের মাত্রা। মনে করা হচ্ছে, প্রবল সংঘর্ষের কারণেই দীর্ঘস্থায়ী কম্পন অনুভূত হয়েছে দিলি সহ গোটা উত্তর ভারতে।
আফগানিস্তানের ভূমিকম্পে অনেকের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। গোটা হিমালয় অঞ্চলের পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠছে দিন কে দিন। আশঙ্কা বিজ্ঞানীদের। প্রধান কারণ, ব্যাপক ভাবে জঙ্গল ধ্বংস আর ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলে বিধি ভেঙে বাড়ি-সেতু-হোটেল তৈরি। অদূর ভবিষ্যতে নেপাল, সিকিম, কাশ্মীর, অসম-অরুণাচলে একাধিক অতি প্রবল ভূমিকম্পের আশঙ্কা রয়েছে।