আজ খবর ডেস্ক- সর্বভারতীয় দল হিসেবে বিজেপি যে যথেষ্ট কোণঠাসা বাংলায় তার আঁচ পাওয়া গিয়েছে আগেই। এরইমধ্যে দিল্লিতে আজকে সর্বভারতীয় একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে বিজেপির তরফ থেকে। যেখানে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা। বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হবে তার একটা আনুমানিক সূত্র পাওয়া গিয়েছিল আগেই। আজকের এই বৈঠকের বিষয় স্থির নিয়ে সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি এবং সহ-সম্পাদকদের সঙ্গে আগেই বৈঠক করেছিলেন জেপি নাড্ডা।
আসন্ন পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন লড়তে চলেছে বিজেপি, তবে বাংলার ফলাফল চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে অন্যান্য রাজ্যের ক্ষেত্রেও। তাই তড়িঘড়ি সময় নষ্ট না করে সর্বভারতীয় স্তরে বৈঠক শুরু করল বিজেপি। একাধিক সাফল্যের কথা বিজেপির তরফ থেকে তুলে দেওয়া হয়েছে সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে। যেমন মোদির বিদেশ সফরে গিয়ে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা, পেট্রল ও ডিজেলের উপর শুল্ক ছাড়। পাশাপাশি, করোনা টিকার ১০০ কোটির মাইলফলক পার করা।
এদিন ওই বৈঠকে জাতীয় কর্ম সমিতির সদস্য ও রাজ্যস্তরের নেতৃত্বরা অনুষ্ঠানে যোগদান করবেন ভার্চুয়াল মাধ্যমে। পাশাপাশি, বাড়ি থেকে ওই একই ভাবে যোগদান করছেন লালকৃষ্ণ আদবানি, মুরলী মনোহর যোশী। জাতীয় কর্মসমিতির এই বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন ৮০ জন।
এছাড়াও, স্থায়ী সদস্য হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন ১৭৯ জন। এছাড়াও আমন্ত্রিত থাকছেন ৫০ জন।
উত্তরাখান্ড, গোয়া, মনিপুর, উত্তর প্রদেশ এবং পাঞ্জাবের মতন গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যগুলি থাকছে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের তালিকায়। যার মধ্যে অন্যতম হয়ে উঠেছে গোয়া, কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই গোয়াতে গিয়ে বৈঠক করেছেন। ঘুরে দেখেছেন নানা পরিস্থিতি।সব মিলিয়ে যথেষ্ট চাপের মধ্যে রয়েছে বিজেপি কারণ সর্বভারতীয় স্তরেও দুটি রাজ্যে ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছে তৃণমূল কংগ্রেস।
এদিনের ভাষণ শুরু করবেন জেপি নাড্ডা, এবং বৈঠকের সমাপ্তি ভাষণ দেবেন নরেন্দ্র মোদি। তবে সূত্রের খবর, এই সর্বভারতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে যে একগুচ্ছ প্রস্তাব আনবে দল, তার মধ্যে কি কি বিষয় উঠে আসবে সেই দিকে তাকিয়ে রয়েছে বিজেপি শিবির।