আজ খবর ডেস্ক- অবশেষে প্রকাশ্যে এল হুমকি চিঠির উৎস। আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে খুনের হুমকি দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছিলেন এক চিকিৎসক। মুখ্যমন্ত্রী মমতাাা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্য উপদেষ্টার স্ত্রীর কাছে পৌঁছেছিল সেই চিঠি। এরপর সক্রিয়তা বাড়িয়েছিল রাজ্য সরকার আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্যে। এবার ওই ঘটনায় চিকিৎসক -সহ তিনজন পুলিশের জালে। ধৃত ওই চিকিৎসকের নাম অরিন্দম সেন।

জানা যায়, ওই চিকিৎসক প্রায় সময়ই বহু মানুষকে হুমকি চিঠি পাঠাতেন। আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে উল্লেখ করে চিঠি পাঠানো হয় তাঁর স্ত্রী সোনালী বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সেখানে লেখা ছিল, আলাপন বাবুকে নিহত হতে হবে। তাঁকে কেউ বাঁচাতে পারবে না। এরপর হেয়ার স্ট্রিট থানায় অভিযোগ জানান হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ বালিগঞ্জ এলাকার বিজন সেতুর কাছ থেকে বিজয়কুমার কয়াল নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। তিনি পেশায় টাইপিস্ট।

অরিন্দম সেন নামের ওই অভিযুক্ত চিকিৎসককে তিনিই হুমকির চিঠি টাইপ করে দিতেন। এছাড়াও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সন্ধের মধ্যে অরিন্দমকে রাজা রামমোহন রায় সরণির থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। একই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয় অরিন্দমের গাড়ির চালক রমেশ সাউকেও।

প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, অরিন্দম কেপিসি মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালের কর্মচারী। রমেশ তাঁর গাড়ির চালক। রমেশের হাত দিয়ে তিনি হুমকি চিঠির খসরা পাঠাতেন বিজয়ের কাছে। বিজয় সেই চিঠি টাইপ করে ফের রমেশের হাত দিয়ে পাঠাতেন। অরিন্দমের বলে দেওয়া ঠিকানায় চিঠি পৌঁছে দিতে চিঠি পোস্ট করতেন রমেশ।

জেরায় অরিন্দম জানিয়েছেন, তিনি মানসিক চাপে ভুগছিলেন। কার্যত সেই কারণেই তিনি এই হুমকি চিঠি পাঠাতেন নাকি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। গত ২৫ অক্টোবর শরৎ বোস রোডের ডাকঘর থেকে ৭টি এমন হুমকি ভরা চিঠি পাঠানো হয়। আলাপন বাবুকে ছাড়া আরও যেই যেই জায়গায় চিঠি পোস্ট করা হয়েছিল তাঁরা হলেন, এনআরএস-এর অধ্যক্ষ শৈবাল মুখোপাধ্যায়, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ মঞ্জু বন্দ্যোপাধ্যায়, ডিরেক্টর অব মেডিক্যাল এডুকেশন দেবাশিস ভট্টাচার্য। এছাড়াও চিঠি পৌঁছে ছিল বিভিন্ন ঠিকানায়।

মঙ্গলবার এদের তিনজনকে আদালতে তোলা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *