আজ খবর ডেস্ক : গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের নবনিযুক্ত জাতীয় সহ-সভাপতি লুইজিনহো ফালেইরোকে শনিবার দলের তরফে রাজ্যসভায় মনোনীত করা হল। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই সে কথা টুইটারে জানিয়েছেন। তিনি লেখেন – “আমরা লুইজিনহো ফালেইরোকে সংসদের উচ্চকক্ষে মনোনীত করতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত। আমরা আত্মবিশ্বাসী যে জাতির সেবা করার জন্য তার প্রচেষ্টা আমাদের জনগণ দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হবে।”
কিছুদিন আগেই কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন ফালেইরো। গত ২৯ শে সেপ্টেম্বর কংগ্রেসের বিধায়কের পদ থেকেও ইস্তফা দেন তিনি। তাঁর যোগদান প্রসঙ্গে তৃণমূলের এক বিবৃতিতে বলা হয়, “চার দশকেরও বেশি সময় ধরে রাজনৈতিক কর্মজীবনে জড়িত, গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফালেইরো মানুষের উন্নয়নের জন্য সক্রিয় ভাবে কাজ করেছেন। আমরা পূর্ণ বিশ্বাস রাখি যে তার দক্ষ নির্দেশনায়, সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস আরও উচ্চতায় পৌঁছতে পারবে।”রাজ্যের বাইরেও নিজেদের ক্ষমতা বিস্তার করার লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই গোয়ায় নির্বাচনী যুদ্ধে নেমে পড়েছে সবুজ শিবির। আগামী বছরের শুরুতে গোয়ার বিধানসভা নির্বাচনে নিজেরাই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে বলেও জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
গোয়ায় ২০২২ এর নির্বাচনের প্রচারে তৃণমূলের নতুন স্লোগান ‘গোয়েঞ্চি নাভি সাকাল’ অর্থাৎ গোয়ার নতুন ডন । সেখানে দলীয় সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য ডেরেক ও’ব্রায়েন, বাবুল সুপ্রিয় এবং সৌগত রায়ের মতো নেতাদের উপর দেওয়া হয়েছে মূল দায়িত্ব। তারমধ্যে একের পর এক রাজ্য তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা এই লক্ষ্যেই গোয়ায় আনাগোনাও শুরু করেছে। সম্প্রতি, বিখ্যাত টেনিস তারকা লিয়েন্ডার পেসও তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। তিনি জানিয়েছেন, তিনি ধর্মীয় এবং জাতিগত ভাবে রাজ্যকে বিভক্ত করার সমস্ত প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে, একটি বিভেদহীন সমাজ তৈরি করতে চান।