আজ খবর ডেস্ক- ছিল দুই, হল পাঁচ। ইডি এবং সিবিআই, এই দুই সংস্থার কর্তার মেয়াদ বাড়াতে উদ্যোগী হল কেন্দ্রীয় সরকার। এই মর্মে রবিবার একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানিয়ে দেওয়া হল কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে।
প্রশ্ন উঠছে হঠাৎ করে এই সিদ্ধান্ত কেন নিল কেন্দ্রীয় সরকার? শোনা যাচ্ছে, কংগ্রেস সহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলোর প্রায় প্রত্যেক নেতার বিরুদ্ধে কোনও আইনি লড়াই বজায় রয়েছে ইডি-র সঙ্গে। সঞ্জয়কুমার মিশ্র, ইডি- র ডিরেক্টর হিসেবে যথেষ্ট সক্রিয় এবং দায়িত্ববান। তাঁকে টিকিয়ে রাখতে চাইছিল কেন্দ্র। তাই মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে যে জল্পনা তৈরি হয়েছিল, তাতে হয়তো এবার বিরতি পড়বে। তবে এই ফরমানের পর তাঁর মেয়াদ বেড়ে যাবে বলে মনে করছেন একাংশ।
অন্যদিকে, হেভিওয়েট ব্যক্তিত্বরা যেমন নীরব মোদী, মেহুল চোকসি, বিজয় মাল্যকে ভারতে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এবং এইসব বিষয়ে তদন্ত করতে সঞ্জয়ের উপরেই ভরসা করতে চাইছে সরকার। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে সঞ্জয়কুমার মিশ্রকে ইডি-র ডিরেক্টর পদে নিয়োগ করা হয়, তাঁর কাঁধে তুলে দেওয়া হয় একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মামলা। তবে তাঁর দু’বছরের মেয়াদ শেষ হয়ে আসার ফলে, ফের এক বছর অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয় তাঁকে। এই অতিরিক্ত সময় দেওয়াকে কেন্দ্র করে মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। এরপরই বলা হয় এভাবে ঘন ঘন মেয়াদ বাড়ানো যাবে না বরং সরকারিভাবে অধ্যাদেশ জারি করতে হবে।
এই নির্দেশের পরই মোদি সরকারের তরফ থেকে এমন ঘোষণা এল এদিন। এই নতুন অধ্যাদেশের ফলে সঞ্জয় কুমার মিশ্র তাঁর পদে থাকতে পারবেন আরও অতিরিক্ত দু’বছর। পাশাপাশি, সিবিআই প্রধান, সুবোধ কুমার জয়সওয়ালের মেয়াদও বেড়ে যাচ্ছে এই অধ্যাদেশের ফলে বলে জানা গিয়েছে।