আজ খবর ডেস্ক:

বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির আশানুরূপ ফল হয় নি।রাজ্য সভাপতির পদ থেকে দিলীপ ঘোষের অপসারণের অন্যতম কারণ হিসেবে ধরা হচ্ছে বিজেপির ৭৭ বিধায়ক প্রাপ্তি এবং ক্রমশ শেখ থেকেই বিধায়ক সংখ্যা কমে আসা। রাজ্য বিজেপির নতুন সভাপতি হিসেবে মনোনীত হন বালুরঘাটের বিজেপির বিধায়ক সুকান্ত মজুমদার। তবে এবার দলীয় নেতৃত্বের রদবদলের পর , দলের সাংগঠনিক পরিকাঠামোকে নতুন ভাবে সাজাতে চাইছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।চলতি সপ্তাহেই দিল্লি গেছেন দিলীপ ও সুকান্ত। দিল্লিতে
জেপি নাড্ডার সঙ্গে ম্যারাথন বৈঠক করলেন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। তার আগে দলের সর্বভারতীয় নেতা বি.এল সন্তোষের সঙ্গেও এক প্রস্থ বৈঠক হয় তাঁদের। রাজ্য বিজেপির সভাপতি পদ পাওয়ার পর এই প্রথমবার তাঁর সঙ্গে দেখা করেন সুকান্ত মজুমদার। বৈঠকে দলের সাংগঠনিক রদবদল এবং রাজ্যে দলের ভবিষ্যৎ কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক সেরে বুধবার রাতেই দিল্লি থেকে ফিরেছেন দিলীপ ঘোষ। তবে জে.পি নাড্ডার সঙ্গে বৈঠক করতে দিল্লিতেই থেকে যান সুকান্ত মজুমদার।

বিজেপি অন্দরে চর্চা, বিধানসভা ভোটে প্রত্যাশিত ফল না করতে পেরেও দিলীপ ঘোষরা বারবার দেখানোর চেষ্টা করছেন যে দল প্রায় শূন্য থেকে শুরু করে ৭৭-এ এসে পৌঁছছে। তাই সাফল্য মোটেই কম নয়। তবে বিজেপির নির্বাচনী ফলে মনোবল হারিয়েছেন দলের নিচুতলার নেতাকর্মীরা। যে কারণে ভোটের ফলপ্রকাশের পর থেকেই বহু বিজেপি কর্মী দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। সেই ধারা এখনও অব্যাহত। তাই এই মুহূর্তে মূলত দলের নিচুতলার ভাঙন রুখতেই নতুন করে সংগঠন সাজানোর কথা ভাবছে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। তাই সেই দল আগামীদিনে কোন পথে কাজ করবে তার দিশা দেখাতেই এই মুহূর্তে নাড্ডার শরণাপন্ন হয়েছে রাজ্য বিজেপি। তবে এই অতি সরলীকরণ মানতে নারাজ অনেকেই। দলের ভাঙন রুখতে যুবমোর্চা থেকে বুদ্ধিজীবী সেল, সর্বত্র পরিবর্তনের সম্ভবনা নিয়ে জল্পনা চলছেই।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *