আজ খবর ডেস্ক- বিরোধী-শাসক দলের গোলমাল লেগেই রয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই পথে নামছে বিজেপি, জ্বালানির উপর রাজ্যের অতিরিক্ত শুল্ক কমানোর দাবিতে। তবে দাম কমানোর বিষয়ে এখনই সিদ্ধান্ত নিতে নারাজ রাজ্য সরকার। এবার অন্যান্য বিষয় নিয়ে বিধানসভা উত্তাল হল এদিন।
জ্বালানির শুল্ক কম করেনি রাজ্য সরকার, তাহলে অন্যদিকে অপ্রয়োজনীয় বস্তু যেমন মদের দাম কমাচ্ছে রাজ্য সরকার। যখন রাজ্যে জ্বালানির দামের জন্য নাভিশ্বাস উঠছে মধ্যবিত্তের, তখন সেই দিকে নজর না দিয়ে রাজ্য কেন মদের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছে? এই প্রশ্নে সরব হয় বিজেপি এদিন বিধানসভায়। এখানেই শেষ নয় মদের দাম কমানোর প্রতিবাদে বিধানসভা থেকে বিক্ষোভ দেখিয়ে বেরিয়ে আসেন বিজেপি বিধায়করা। মূলত তিনটি বিষয়ের উপরে জোর দিয়েছিল বিজেপি এদিন। জ্বালানির উপর রাজ্যে শুল্ক ছাড়, বেকারত্ব এবং আইন শৃংখলার অবনতির মত বিষয়গুলিকে অধ্যক্ষর সামনে আনতে সচেষ্ট হয় পদ্ম শিবির। তবে সেই বিষয়গুলির দিকে বিশেষ একটা আমল দেননি অধ্যক্ষ বলে দাবি তাঁদের। এরই প্রতিবাদে বিধানসভা ছেড়ে বেরিয়ে আসেন সকল বিধায়করা।
রাজ্যে নতুন করে কোনও কর্মসংস্থান আসেনি। এই বিষয়টিকে হাতিয়ার করেছিল শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে অন্যান্য বিধায়করা। প্রসঙ্গত এ রাজ্যে লগ্নি এলেই কর্মসংস্থান এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে যাবে। এই প্রশ্নে অমিত মিত্রর সঙ্গে এক প্রস্থ বাক বিতন্ডা দেখা দিয়েছে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের মধ্যে। রাজনৈতিক উত্তাপ এই ক্ষেত্রে লক্ষ্য করা গিয়েছিল প্রকাশ্যে। রাজ্যপালের টুইট এবং অমিত মিত্রের পাল্টা টুইটের প্রসঙ্গকেই আজ একবার ফের উস্কে দিয়েছে বিজেপি বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এদিন বলেন, বিভিন্ন স্বাদের মদ বাজারে এনে যুবশক্তিকে চালনা করার চেষ্টা করছে তৃণমূল কংগ্রেস। ২৮ টাকার নতুন মদের ব্র্যান্ড চালু করা এবং ৩০ শতাংশ মদের দাম কমানোকে হাতিয়ার করেই বিধানসভা ছাড়লেন বিজেপি বিধায়করা। পাশাপাশি বিজেপি তরফে আনা প্রস্তাবগুলোর দিকে নজর দেওয়া হয়নি বিধানসভায়। এই বিষয়ে ক্ষোভ উগরে দেন বিরোধী দলনেতা।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, তাঁর জেনে রাখা দরকার ভোজ্য তেল এবং খাদ্যপণ্যের দাম কোথায় পৌঁছেছে। এর সঙ্গেই তিনি বলেন উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথকে দেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শেখা উচিত। উত্তরপ্রদেশ সরকারকে অনুসরণ করে যথাসম্ভব জ্বালানির দাম কমান উচিত মুখ্যমন্ত্রীর। টেট, প্রাইমারি, এসএসসি নিয়োগ বন্ধ হয়ে রয়েছে, রাজ্যে ২ কোটি বেকার। এ ধরনের বিষয়গুলি কেও তুলে ধরে বিজেপি।সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ার ফলে বিধানসভায় কথা বলতেই পারছেন না বিজেপি বিধায়করা বলে দাবি তাঁর।
অধিবেশন চলাকালীন প্রায় রোজই উত্তাল হচ্ছে বিধানসভা। গতকাল দেখা গিয়েছে বর্ডার সুরক্ষা বাহিনীর এক্তিয়ার নিয়ে সমস্যা। অন্যদিকে, মদের দাম কমান এবং তার সঙ্গে একাধিক বিষয় নিয়ে ফের একবার পরিস্থিতি হাতের বাইরে গেল বিধানসভায়।