আজ খবর ডেস্ক : কড়কনাথ মুরগি নামটা বাংলায় সেভাবে প্রচলিত না হলেও, মধ্যপ্রদেশের ঝাবুয়া নামক জায়গাটি এই মুরগি ব্যবসার প্রধান কেন্দ্র। এমনকি সেখানে জিআই ট্যাগও পেয়েছে এই মুরগি। কেজি প্রতি এই মুরগির মাংসের দাম প্রায় ১০০০ টাকা ! সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে, ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক, ক্রিকেটার ধোনিও এই মুরগির প্রতিপালন করেন।
নিশ্চই ভাবছেন কি এমন মুরগি, যার এত দাম! আসলে এর বিশেষত্ব হল, এই মুরগি দেখতে যেমন কালো হয়, তেমনই এর রক্ত ও মাংস দুইই কালো হয়। এই মুরগি আয়রন, প্রোটিন সমৃদ্ধ। সাথে এতে খুবই কম পরিমাণে কোলেস্টেরল থাকে। তাই এই মুরগির মাংস হার্ট ও ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। সাধারণত কেজি প্রতি ৭০০-১০০০ টাকায় বিক্রি হয় এই মুরগি। তবে শুধু মাংসই নয়, এই মুরগির এক একটি ডিমের দামও প্রায় ২০ থেকে ৩০ টাকা। তবে শীতকালে চাহিদা বেশি থাকায় দাম হয়ে যায় কেজি প্রতি ১০০০-১২০০ টাকা।
এই মুরগি চাষের পদ্ধতিও অন্যান্য সাধারণ মুরগির থেকে বেশ কিছুটা আলাদা হয়। আর এই মুরগির ব্যবসায় উপার্জনও তুলনামূলক বেশি। এই মুরগি চাষের জন্য সরকারের তরফ থেকে বিশেষ আর্থিক সুবিধাও পাওয়া। যার ফলে শুধুমাত্র মধ্যপ্রদেশই নয়, বর্তমান সময়ে অন্যান্য অনেক রাজ্যও এই মুরগি প্রতিপালনের দিকে আগ্রহ বাড়াচ্ছে।উত্তর প্রদেশের বিজনোরে ইউনাইটেড পোল্ট্রির দেখাশোনার দায়িত্ব থাকা আরশি শামসি এই ব্যাবসা শুরুর বিষয়ে জানিয়েছেন- যেকোন কেভিকে কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র বা CARI সেন্ট্রাল এভিয়ান রিসার্চ ইনস্টিটিউট বেরেলি থেকে এই মুরগি চাষের জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষা নেওয়া যাবে। তবে প্রথমে ১০০ টি মুরগি দিয়ে চাষ শুরু করতে হবে এবং শেড নির্মাণের খরচ মিলিয়ে মোট ৫০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করতে হবে।
এই মুরগির ডিম ফুটে বাচ্চা বের হতে সময় লাগে প্রায় ২১ দিন। আর ৫ থেকে সাড়ে ৫ মাসের মধ্যে ওই ছানা বিক্রিযোগ্য হয়ে ওঠে। এই মুরগি তুলনামূলক ভাবে কম রোগগ্রস্থ হয় বলেও জানা গিয়েছে। আর এই মুরগির থেকে বার্ষিক আয় হয়, ১০০ টি মুরগির জন্য প্রায় ১.২০ লাখ টাকা। যা এই ধরনের মুরগির প্রতিপালন ও চাষের থেকে সাধারণত উপার্জন করা অর্থের তুলনায় অনেকটাই বেশি।