আজ খবর ডেস্ক : মন ও মানসিক চাহিদা নিয়ে বহু আলোচনা হলেও শারীরিক চাহিদা নিয়ে কথা বলতে আমরা সবাই কম বেশি ইতস্তত বোধ করি। কিন্তু শরীরকেও তো একেবারে অবহেলা করা যায় না। তবে শারীরিক চাহিদা বলতে বিষয়টিকে আমরা যেভাবে বুঝি সব সময় কিন্তু তেমনটা হয় না। নিজের চেহারা নিয়েও আমাদের প্রত্যেকেরই কিছু পছন্দ-অপছন্দ থাকে। সেই পছন্দের শরীর পেতে কি করলেন এই বিদেশিনী , শুনলে অবাক হবেন।

নিউজিল্যান্ডের বাসিন্দা বছর ২৪ এর এই তরুণী মনের মতো শরীর পেতে যে কী না করেছেন শুনলে অবাক হতে পারেন আপনি। প্রথম ওজন ঝরিয়ে শরীরকে ছিপছিপে করেছেন। তারপর মনের মতো নিতম্ব পেতে,প্রিয় খাবার খেয়ে ওজন বাড়াতে শুরু করেছেন। আর এই বাড়ানো কমানোর খেলায় তিনি পৌঁছে গিয়েছেন নিজের ইপ্সিত লক্ষ্যে।কেবল নিতম্বই নয়, পাশাপাশি তার উরুও যেন হয় একেবারে মনের মতো হয়, সেই দিকে প্রথম থেকেই নজর রেখেছিলেন সারা। তবে কাজটা একেবারেই সহজ ছিল না।

নিজের অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে তরুণী জানান, ”একই সঙ্গে পেশিকে সুগঠিত করা এবং অল্পবিস্তর মেদ জমানো বলতে গেলে অসম্ভবই। সেটা করতে হলে নবাগতের মতো করে জিমে সময় দিতে হবে।” তিনি আরও বলেন, এজন্য তাঁকে দৈনিক ৩ হাজার ক্যালোরির খাবার খেতে হত। সেই তালিকায় কি ছিল না ! চিকেন পিৎজা, চিপস, বার্গার, পাস্তার মতো সমস্ত পছন্দের খাবার খেয়ে এই চেহারা পেতে হয় তাকে। তিনি জানান, তাতে যেমন তৃপ্তি পেয়েছেন, তেমনই তা তাঁকে নিজের পছন্দের শরীর পেতেও সাহায্য করেছে। স্বাভাবিক ভাবেই মনে হতে পারে, কী করে এত মেপে নিজের ওজন বাড়ানো কমানোকে নিয়ন্ত্রণ করলেন তিনি? সারার জবাব, ”তেমন কোনও ম্যাজিক ব্যায়াম নেই যা আপনাকে নিখুঁত নিতম্ব দেবে। তবে আমার প্রিয় কিছু ব্যায়াম আমাকে খুবই সাহায্য করেছে। বিভিন্ন ধরনের বার্বেল স্কোয়াট জাতীয় ব্যায়ামেই এটা সম্ভব হয়েছে।”

তবে তিনি জানান, ব্যায়াম শুরুর আগে শরীরকে ঠিকমতো গরম করে নেওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন যাতে কোনও চোট না লাগে। সে কারণে ওয়ার্মআপ প্রয়োজন।আর এই পুরো কাণ্ডটি করতে সারার সময় লেগেছে মাত্র ২ বছরে। অথচ প্রথমে তাঁর শরীরের গঠন ছিল একেবারেই সাধারণ। তার উপর ওজন ঝরাতে পারলেও, নিতম্ব নিখুঁত ভাবে ধরে রাখা ছিল বেজায় মুশকিল। কিংবা পা দু’টিও সেই অর্থে বেশি ছিপছিপে লাগতে পারতো। তার উপর শুষ্ক চেহারার লাবণ্য বজায় রাখাও একটা বড়ো চিন্তা। আর সেই দু’টির মধ্যে অনবদ্য ভারসাম্য করেন সারা। এই মুহূর্তে তাঁর শরীর হয়ে উঠেছে একেবারে বিকিনি মডেলদের মতোই চিত্তাকর্ষক।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *