আজ খবর ডেস্ক : আগামী সপ্তাহেই তিন দিনের জন্য দিল্লি সফরে যাচ্ছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলে নানান জল্পনা শুরু হয়েছে, তার মধ্যেই বড়ো জল্পনা ! মুখ্যমন্ত্রীর দিল্লি সফরে তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন বরুণ গান্ধী। বরুণ গান্ধীর পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসে সম্ভাব্য যোগদানের তালিকায় নাম রয়েছে জেডিএস থেকে বিএসপি-তে যোগ দেওয়া দানিশ আলিরও। গত বছর মায়াবতীর সঙ্গে মতান্তরের জেরে লোকসভার পদ হারাতে হয়েছিল দানিশকে।

বরুণ গান্ধীর দলে যোগ দেওয়ার বিষয়টি এখনও স্পষ্ট করেনি তৃণমূল। তবে দলের এক শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন, “বিজেপি-র উপর যে সব নেতা ক্ষুব্ধ, কিন্তু কংগ্রেসে যাওয়ার জায়গা নেই, তাঁরা তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। এই মুহূর্তে মমতা তথা তৃণমূল কংগ্রেসই যে মোদীকে রুখতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা নিতে পারেন, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।”

গান্ধী পরিবারের রাজনৈতিক পরিচয়ের ঠিক উল্টো পথে হাঁটা ব্যক্তি হলেন ইন্দিরা গান্ধীর কনিষ্ঠ পুত্র সঞ্জয় গান্ধীর পুত্র বরুণ গান্ধী। মা মেনকা গান্ধীকে দেখেই গেরুয়া শিবিরের প্রতি প্রথম ঝোঁক তৈরি হয়েছিল তাঁর। পরবর্তী সময় সেই পথেই নিজের রাজনৈতিক জীবন চালিত করতে দেখা গেছে তাঁকে। বর্তমানে মধ্যপ্রদেশের পিলভিটের সাংসদ তিনি। তবে বেশ কিছুদিন যাবৎ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে একাধিক কারণে দূরত্ব তৈরি হয়েছে বরুণ গান্ধীর। তার জেরেই মা মেনকা গান্ধী এবং তাঁকে বিজেপি-র জাতীয় কর্মসমিতি থেকে ইতিমধ্যেই ছেঁটে ফেলা হয়েছে। সম্প্রতি লখিমপুর খেরির হিংসার ঘটনায় কৃষক হত্যার নিন্দা করতেও দেখা যায় বরুণকে। গান্ধীজির জন্মদিনে নাথুরাম গডসের বিরুদ্ধেও সরব হয়েছিলেন তিনি। রাজনৈতিক মহলের মত, বিজেপি ছাড়লে একটি নতুন রাজনৈতিক মঞ্চের প্রয়োজন হবে বরুণ গান্ধীর। তবে কংগ্রেস পরিবারে ফেরার উপায় নেই বরুণের। তাহলে কি তৃণমূলে যোগ দেবেন তিনি ?

ইতিমধ্যেই উত্তর পূর্বের ত্রিপুরা থেকে পশ্চিমে গোয়া, এমনকি রাজধানী দিল্লিতেও নিজেদের রাজনৈতিক প্রতিপত্তি বিস্তার করতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে তৃণমূল কংগ্রেস। গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী থেকে, তারকা ক্রীড়াবিদ লিয়েন্ডার পেজ, একের পর এক বহু নেতাকর্মী যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। পাশাপাশি বিগত কিছুদিনে কেন্দ্রের বিরোধিতার প্রসঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে তৃণমূল ও কংগ্রেসের মধ্যে। স্বাভাবিকভাবেই এরমধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর দিল্লি সফরে বরুণ গান্ধী যদি তৃণমূলে যোগ দেন, তবে সেই যোগদান তৃণমূলের ক্ষেত্রে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে, বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *