আজ খবর ডেস্ক- বিজেপি সরকারের আমলে একাধিক সংস্থা বিলগ্নিকরণের পথে হেঁটেছে। সম্প্রতি এয়ার ইন্ডিয়া কেও সেই পথেই হাঁটতে দেখেছে গোটা দেশ। টাটা সানস এর হাতে গেছে এয়ার ইন্ডিয়া। শোনা যাচ্ছে, চলতি আর্থিক বছরে আরও ছটি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিলগ্নিকরণের পথে হাঁটতে চলেছে। কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের অধীনস্থ বিলগ্নিকরণ এবং রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা নিয়ন্ত্রণ দপ্তরের অধীনে হতে চলেছে এই বিলগ্নিকরণ।

‘গ্লোবাল ইকনমিক পলিসি সামিট’-এ এই কথা জানান সংশ্লিষ্ট দফতরের সচিব তুহিন কান্ত। তিনি বলেন, এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হলে প্রায় ১৯ বছর পরে ৫-৬টি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিলগ্নিকরণ বাস্তবায়িত হবে ভারতের বুকে। অবশ্য অর্থ মন্ত্রকের কর্তাদের একাংশের বক্তব্য, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির বিলগ্নিকরণের কথা গত ফেব্রুয়ারি মাসেই জানিয়ে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিলগ্নিকরণ পদ্ধতির মাধ্যমে অর্থ সংস্থানের পাশাপাশি সামগ্রিক ব্যবস্থার আধুনিকীকরণের লক্ষ্য মাত্রাও রাখা হয়েছে।

একঝলকে দেখে নেওয়া যাক কোন কোন সংস্থা আসতে চলেছে এই বিলগ্নিকরণের আওতায়। এই তালিকায় রয়েছে বিএমইএল, বিপিসিএল, শিপিং করপোরেশন অফ ইন্ডিয়া, পবনহংস, সেন্ট্রাল ইলেকট্রনিক্স, নীলাচল ইস্পাত নিগমের মতো রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলি।

তুহিন কান্ত জানান, চলতি অর্থবর্ষে সংস্থাগুলির বিলগ্নিকরণের জন্য দরপত্র চূড়ান্ত হয়ে যাবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, মোদি জমানায় এখনও পর্যন্ত সেইভাবে নতুন কোনও পাবলিক সেক্টর সংস্থা চালুর প্রক্রিয়া বা পরিকল্পনা দেখেনি ভারত। কিন্তু এইভাবে একের পর এক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলি বিলগ্নীকরণের মুখে চলে গেলে, সরকারি আর কতগুলি সংস্থা অবশিষ্ট থাকবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

বিলগ্নিকরণের প্রক্রিয়া দ্রুত করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের সব স্তরে চেষ্টা করা হলেও এই প্রক্রিয়ার আরও সরলীকরণ সম্ভব কিনা, তার চেষ্টাও চলছে বলে কেন্দ্রীয় সচিব জানিয়েছেন। আগামী জানুয়ারি-মার্চ মাসে লাইফ ইনস্যুরেন্স কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া-এর, ইনিশিয়াল পাবলিক অফারিং বাজারে আনা হবে বলে বিলগ্নিকরণ এবং রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা নিয়ন্ত্রণ দপ্তর সূত্রের খবর।

একাধিক সরকারি সংস্থা এবং ব্যাঙ্কগুলিকে বেসরকারিকরণের মুখে ঠেলে দেওয়া কে নিয়ে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। দেশের সম্পত্তি নিয়ে কার্যত ছেলে খেলা করছে নরেন্দ্র মোদি এমনটাও শোনা গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। যদিও বিরোধীদের এই কটাক্ষকে কার্যত উড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি সরকার। ভারতের ‘রত্ন’ আখ্যা পাওয়া সংস্থাগুলি এবার কাদের হাতে উঠতে চলেছে সেই দিকে তাকিয়ে দেশ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *