আজ খবর ডেস্ক- বুস্টার ডোজ নয়, আপাতত প্রয়োজন দেশের প্রাপ্ত বয়স্কদের দুটি করে টিকার ডোজ দেওয়া। আগেও এই প্রসঙ্গে বারবার জল্পনা সৃষ্টি হয়েছে, ভারতে বুস্টার ডোজ আবশ্যিক হবে নাকি। এদিন ফের একবার আইসিএমআর (ICMR) এর ডিরেক্টর বলরাম ভার্গব জানান, আপাতত বুস্টার ডোজ নয় বরং দুটি করে ডোজ দেওয়াই একমাত্র লক্ষ্য কেন্দ্রের।
ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজারি গ্রুপ অন ইমিউনাইজেশন ইন ইন্ডিয়া-র (NTAGI) পরবর্তী বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হবে বুস্টার ডোজের প্রয়োজনীয়তার ব্যাপারে। পাশাপাশি এদিন এও জানানো হয়, আপাতত শুধু ভারতেই নয় বরং সারা বিশ্বে প্রতিটি দেশের সরকারের একমাত্র লক্ষ্য, সকলকে দুটি করে টিকার ডোজ প্রদান করা।
সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ৮২ শতাংশের মত মানুষ যারা টিকা পেতে অনুমোদিত, তারা সকলেই প্রথম ডোজ নিয়ে নিয়েছেন, এবং অন্যদিকে ৪২ শতাংশ মানুষ সম্পূর্ণ টিকার ডোজ গ্রহণ করেছেন। বকেয়া টিকা দেওয়ার ব্যাপারে অনেকটাই আশাবাদী কেন্দ্রীয় সরকার।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য জানান, ভারতে এই মুহূর্তে যথেষ্ট পরিমাণে করোনার টিকা প্রস্তুত রাখা আছে, কাজেই আপাতত সেই বিষয়ে কোনও রকম সমস্যা হবে না। অন্যদিকে, বলরাম ভার্গব জানান, বিভিন্ন পর্যালোচনা করার পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, ভারতের জন্য আদতে কতটা জরুরী বুস্টার ডোজ। বিশিষ্ট স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বসে সেই সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করা হবে বলেও জানানো হয় এদিন।
শোনা যাচ্ছে, নরেন্দ্র মোদি যে কোনও বিষয়ে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। তাই এই ক্ষেত্রেও কেন্দ্রীয় সরকার, বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে পরামর্শ করেই ভারতে বুষ্টার ডোজের প্রয়োজনীয়তা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বাড়ি বাড়ি গিয়ে শুরু করা হবে টিকাকরণের কর্মসূচি। যারা এখনও পর্যন্ত প্রথম ডোজ এবং দ্বিতীয় ডোজ নেননি, তাদের ক্ষেত্রে একমাস ব্যাপী “হর ঘর দস্তক” নামের এক নতুন প্রকল্প চালু করতে চলেছে কেন্দ্র।